মোহাম্মদ আশরাফুল, বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম পোস্টারবয়। ব্যাট হাতে দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলতে তার জুড়ি ছিলোনা। ব্যাকরণ তো বটেই, ব্যাকরণের বাইরে শট খেলেও তাক লাগিয়েছেন ভক্তদের। বাংলাদেশের অনেক স্মরণীয় জয়ের নায়ক হয়ে ভক্তদের মনে চিরস্থায়ী আসন পেয়েছেন অ্যাশ। অমিত প্রতিভার অধিকারী এই ব্যাটসম্যান তার এক যুগেরও অধিক লম্বা ক্যারিয়ারে সবক’টি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষেই খেলেছেন। তাই অভিজ্ঞতার ঝুলিও তার বেশ ভারী। কিন্তু অভিজ্ঞতা বা প্রতিভা, কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। বাজে ফর্মই যেন তার নিত্য সঙ্গী ছিল।
ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়ই ভুগেছেন রান খরায়। কিন্তু তাতে কি? ফর্মহীনতা তার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র আঁচ ফেলতে পারেনি। কেননা নিজের দিনে তিনিই ছিলেন সেরা। নিজের দিনে তিনি যেন কোনো মহাকাব্যের মহানায়ক হয়ে ওঠেন। হাতের ব্যাটটিকে কলম বানিয়ে লিখে চলেন তার মহাকাব্য। কার্ডিফ, গায়ানা কিংবা জোহানেসবার্গের একেকটি ইনিংস তার একেকটি দৈত্য বধেরই গল্প। অথচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে থমকে গেছে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। জাতীয় দলের বাইরে আছেন প্রায় সাত বছর ধরে। নিয়মিত খেলতে পারলে হয়তো অনেক রেকর্ড সঙ্গী হতো তার। হারিয়ে যাওয়া আশরাফুলকে নিয়ে আক্ষেপ বাংলার কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর। আশরাফুলকে নিয়ে আক্ষেপ ঝরলো ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হার্শা ভোগলের।
সম্প্রতি জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় তিন বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান উমর আকমল। ২৯ বছর বয়সী উমরকে দারুণ প্রতিভাবান মনে করেন হার্শা ভোগলে। আকমলের নিষেধাজ্ঞা জনপ্রিয় এই ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারকে মনে করিয়ে দেয় ২০১৪ সালে ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে নিষিদ্ধ হওয়া আশরাফুলকে। টুইটারে হার্শা ভোগলে লিখেছেন, ‘ আমাদের (ভারতের) পূর্ব ও পশ্চিমে আমি দুইজন অসামান্য প্রতিভাধর দেখেছি। মোহাম্মদ আশরাফুল ও উমর আকমল। প্রতিভা নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। তুমি তোমার প্রতিভাকে কিভাবে কাজে লাগাচ্ছো সেটার ওপর নির্ভর করে তুমি কতদূর যেতে পারবে।’