যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে কাছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছিল। তবে বেইজিং ঠিকই ভাইরাসটির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে জানুয়ারি থেকে চিকিৎসা সামগ্রীর রপ্তানি কমিয়ে তা মজুত করতে শুরু করে
করোনাভাইরাস নিয়ে শুরু থেকেই চীনের বিরুদ্ধে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া কিংবা তথ্য গোপনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনঘেষা আখ্যা দিয়ে ওই সংস্থার তহবিল বন্ধের উদ্যোগও নিয়েছেন। ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়ে চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তোলে অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানিও।
সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর রবিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে গত জানুয়ারিতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তখন থেকেই চিকিৎসা সামগ্রীর রপ্তানি কমিয়ে তা মজুত করতে শুরু করে বেইজিং। বছরের শুরুতে চীনের আমদানি-রপ্তানির তথ্য যাচাই করেই এমন সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছিল চীন। তার দাবি, ভাইরাসটি যে চীনের উহানের একটি ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে ‘প্রচুর তথ্যও’ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, করোনাভাইরাস উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে করোনাভাইরাস মানবসৃষ্ট নয়, এমনকি তা জেনেটিকভাবে পরিবর্তিতও নয়।