রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং কমেছে। স্বস্তি ফিরেছে সার্বিক জনজীবনে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এতে কয়েক দিন ধরে চলা নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ কমেছে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসে। জাতীয় গ্রিডে নতুন বিদ্যুৎও যুক্ত হয়েছে।শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেলের কিছু সময় দেশ লোডশেডিংমুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লোডশেডিং কমার বিষয়ে অনেকে পোস্ট করেছেন।
আরো পড়ুন: দেশের মহানগরগুলোতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা
এর মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। রংপুর আর খুলনা বিভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল কম। তবে শুক্রবার দেশের অধিকাংশ স্থানেই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। কয়েক দিন ধরে যা ছিল ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি এবং ডেসকোর এলাকায় কোনো লোডশেডিং হয়নি। দেশের অন্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুসারে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে লোডশেডিংয়ের
আদানির সরবরাহ বেড়েছে, বন্ধ এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্র
ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত আদানি গ্রুপের চালু প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। এখন দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ এসেছিল ১০৮৩ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রথম ইউনিট থেকে ৪৪৩ মেগাওয়াট আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে এসেছে ৬৪০ মেগাওয়াট। কয়লা সংকটে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনের চার দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রটি ৩০০ থেকে ৩৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছিল।
আরো পড়ুন:মেসির প্রসঙ্গ এড়ালেন রোনালদো