দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। নমুনা পরীক্ষার হারের সঙ্গে বাড়ছে নতুন শনাক্ত রোগী। একই সঙ্গে প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ২৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটিই এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ২৬৮ জন শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৪ জন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সুস্থ হয়েছেন ২৫৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ৪ হাজার ৩৭৩ জন।
গতকাল কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান, স্বাস্থ্য অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারী ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, একজন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জন। ১৪ জনের মধ্যে শুধু হাসপাতালেই মারা গেছেন ১৩ জন এবং বাসায় একজন। আর অঞ্চল বিবেচনায় ঢাকা শহরে মারা গেছেন পাঁচ জন, চট্টগ্রাম শহরে চার জন, সাভার ও কেরানীগঞ্জে একজন করে এবং নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও শরীয়তপুরে একজন করে মারা গেছেন। মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। নাসিমা সুলতানা জানান, ৪২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ছিল ৮ হাজার ৫৭৪টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ১১৪টি। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বুলেটিনে জাননানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৭৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ২৪৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৪ জনকে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৮ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৩৫৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৩১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৯ হাজার ৪১৭ জন।
বিশে^ এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রাণহাণি ৩ লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লাখেরও বেশি।