শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের তথ্যে গরমিল

করোনা মোকাবিলায় এত পিপিই কোথায় গেল?

রিপন রুদ্র:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৩৭

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) সারাদেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৮টি পিপিই বিতরণ করেছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭টি পিপিই সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে তাদের কাছে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৭টি পিপিই মজুদ আছে। এই তথ্যের সূত্র ধরে সারাদেশে পিপিই সরবরাহের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে। ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর ও খুলনা- এই সাতটি বিভাগে সোমবার পর্যন্ত ৬ লাখ ৭ হাজার ৯৯টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এর বাইরে রাজধানীর চারটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, ২৫টি নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্র এবং করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে দুই লাখের মতো পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সব মিলিয়ে আট লাখের কিছু বেশি পিপিই মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেড়গুণ বেশি পিপিই বণ্টনের তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের তথ্যে গরমিলের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এত পিপিই তাহলে গেল কোথায়?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য সঠিক হলে স্বাস্থ্য খাতে বর্তমানে চিকিৎসক-নার্সসহ ৮৫ হাজার কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যেকের অন্তত ১৫ সেট করে পিপিই পাওয়ার কথা। কিন্তু তাদের কেউই এত পিপিই পাননি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পিপিই সম্পর্কিত তথ্যের চ্যালেঞ্জ করে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, গত সোমবার পর্যন্ত সিএমএসডি সারাদেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৮টি পিপিই বিতরণের কথা বলেছে। আমার প্রশ্ন- পিপিইগুলো কোথায় গেল? কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চিকিৎসক, নার্সসহ মোট ৮৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী কর্মরত রয়েছেন। এ হিসাবে প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর গড়ে ১৫ সেটের বেশি পিপিই পাওয়ার কথা। কিন্তু এই পরিমাণ পিপিই কেউ তো পাননি। বরং অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এখনও একটিও পিপিই পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। কোনো বেসরকারি হাসপাতালেও তো পিপিই দেওয়া হয়নি। তাহলে এসব পিপিই কাদের দেওয়া হয়েছে তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেন, মানহীন পিপিই কিনে সেগুলো হাসপাতালে সরবরাহ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের যেভাবে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর দায় কে দেবে? তিনি বলেন, শুনতে পাচ্ছি, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে পাঁচ থেকে ১০ গুণ বাড়তি মূল্যে এসব মানহীন পণ্য ক্রয় করে একটি চক্র লাভবান হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও মানহীন এসব পণ্য ক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের সতর্ক করেছেন। এর পরও তা বন্ধ হয়নি। কারা এর পেছনে রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা জরুরি। দুই-একজনকে লাভবান হওয়ার সুযোগ দিলে হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

বিএমএ মহাসচিবের বক্তব্যের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে সাতটি বিভাগে পিপিই বণ্টনের যে তথ্য পাওয়া যায় তা তুলে ধরা হলো।
বরিশাল বিভাগ : বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অফিস সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগে সোমবার পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৮৫টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৩ হাজার ৯৫৮টি, বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে ১২ হাজার ২৪৬টি, পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে ৬ হাজার ২৯০টি, ভোলা সিভিল সার্জন অফিসে ৩ হাজার ৩৯৮টি, পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে ৭ হাজার ৩৫৪টি, বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসে ৫ হাজার ২২০টি, ঝালকাঠি সিভিল সার্জন অফিসে ৭ হাজার ৬১৪টি, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ২ হাজার ৭৫০টি, ভোলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৫০টি এবং বরগুনার ১০০ শয্যার হাসপাতালে ২ হাজার ৮৫০টি।

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা বিভাগে গত শনিবার পর্যন্ত্ম মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৩১৮টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৫ হাজার ১১৭টি, ফরিদপুরে ৫ হাজার ৮৬০টি, গাজীপুরে ১১ হাজার ৩৭টি, গোপালগঞ্জে ৯ হাজার ৩৪৭টি, কিশোরগঞ্জে ২০ হাজার ২১টি, মাদারীপুরে ৭ হাজার ৪৮৫টি, মানিকগঞ্জে ৫ হাজার ৮৩০টি, নারায়ণগঞ্জে ৬ হাজার ৩১০টি, নরসিংদীতে ৭ হাজার ৫৬১টি, রাজবাড়ীতে ৬ হাজার ৩৫২টি, শরীয়তপুরে ৩ হাজার ৮৮০টি, টাঙ্গাইলে ১১ হাজার ১৫২টি পিপিই বিতরণ করা হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগ : ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগে ৩১ হাজার ২৫৪টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬ হাজার ৮৬০টি, ময়মনসিংহ জেলায় ৭ হাজার ৩৩২টি, নেত্রকোনায় ৭ হাজার ৯৩০টি, জামালপুরে ৫ হাজার ৭৫৯টি, শেরপুরে ৩ হাজার ৪০০টি পিপিই সরবরাহ করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগ :চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার পর্যন্ত এই বিভাগে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৫টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১১ হাজার ৬৮০টি, কক্সবাজারে ৭ হাজার ৮১১টি, বান্দরবানে ৮ হাজার ৩৮০টি, রাঙামাটিতে ৯ হাজার ৮৭১টি, খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার ৬৭৩টি, ফেনীতে ৮ হাজার ৫৩০টি, নোয়াখালীতে ৬ হাজার ৪৪০টি, লক্ষ্মীপুরে ৭ হাজার ৯৮৪টি, চাঁদপুরে ৬ হাজার ৫৮৫টি, কুমিল্লায় ১০ হাজার ৭৬৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ হাজার ৩০০টি, চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ৫ হাজার ৮২টি, কক্সবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ৮ হাজার ৪৯০টি, ফেনীর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ২ হাজার ৬৬০টি, নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৪ হাজার ১৫০টি, চাঁদপুর ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৪ হাজার ২০৪টি, ব্রাহ্ম্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ২ হাজার ৮৮০টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগ :গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এই বিভাগে ৭৪ হাজার ২২৮টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ৭ হাজার ৭৫০টি, দিনাজপুরে ১৭ হাজার ৯২০টি, লালমনিরহাটে ৬ হাজার ৯৬৭টি, পঞ্চগড়ে ৯ হাজার ৯৮৫টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৮৬০টি, কুড়িগ্রামে ৯ হাজার ২৩৮টি, নীলফামারীতে ৫ হাজার ৫৬৮টি, গাইবান্ধায় ৯ হাজার ৮৪০টি পিপিই বিতরণ করা হয়।
রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট : রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগে এ পর্যন্ত্ম ৭৯ হাজার ৬৪৯টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৭৮ হাজার ৫৫৭টি এবং সিলেটে ৪৫ হাজার ৫২৩টি পিপিই পাঠানো হয়েছে। আট বিভাগে সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৭ হাজার ৯৯টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ক্রাইম এক্সপ্রেসকে বলেন, সিএমএসডি থেকে প্রতিদিনই পিপিই বিতরণের তালিকা পাঠানো হয়। সেখানে বিভাগীয় পরিচালকদের মাধ্যমে প্রত্যেকটি বিভাগে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো পিপিইর হিসাব থাকে। এর বাইরে নমুনা পরীক্ষার ল্যাব, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পিপিই পাঠানো হয়। এগুলো হিসাব করলে সিএমএসডির সংখ্যার সঙ্গে মিলে যাবে।

এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে বরিশাল ও ময়মনসিংহের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পিপিইর হিসাব পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৩ হাজার ৯৫৮টি এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬ হাজার ৮৬০টি পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে।

তবে একাধিক সূত্র জানা গেছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১০ হাজারের মতো পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সসহ প্রায় সাড়ে ১৩শ’ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন সমকালকে জানান, সঠিক সংখ্যাটি তিনি বলতে পারবেন না। তবে ২০ থেকে ২৫ হাজারের মতো পিপিই তাদের দেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে জনবল রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার এবং কলেজে প্রায় সাড়ে চারশ’র মতো। হিসাব কষলে দেখা যায়, রাজধানীর বড় এ দুটি হাসপাতালেও চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা গড়ে ৬ থেকে ৭টি করে পিপিই পেয়েছেন। মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও ১০ হাজারের মতো পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। করোনা ডেডিকেটেড কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০টির মতো পিপিইর প্রয়োজন হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিহাব উদ্দিন। এখন পর্যন্ত কতটি পিপিই পেয়েছেন সেই হিসাব তিনি দিতে পারেননি। তবে প্রায় এক হাজার পিপিই মজুদ আছে বলে জানান। এই হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সসহ ২৭৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। সবাইকে পিপিই দেওয়া হয় না উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে গিয়ে যারা চিকিৎসা দেন কেবল তাদের পূর্ণাঙ্গ পিপিই দেওয়া হয়।

মান নিয়ে প্রশ্ন : বিএমএর তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৫ চিকিৎসক, ১১৬ নার্স এবং ২৪৯ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংশ্নিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, মানহীন পিপিই ব্যবহার করে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের যারা চিকিৎসেবা দেবেন তাদের জন্য পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারে এমন পিপিই নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো বিশেষ উপকরণ রয়েছে যা সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এর একটি উপকরণও বাদ পড়লে সেগুলোকে পূর্ণাঙ্গ পিপিই বলা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যে মানের পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে তাতে এসবের বালাই নেই। অন্তত ছয়টি হাসপাতালের পরিচালক ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি হাসপাতালেও পূর্ণাঙ্গ পিপিই সরবরাহ করা হয়নি। পৃথকভাবে গাউন, গগলস, সার্জিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস বেশি পাঠানো হয়। মাঝে মধ্যে শু কভার ও হেড মাস্ক পাঠানো হয়।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, এগুলোকে পিপিই না বলে রেইনকোট বলা যায়।
মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, তাদের হাসপাতালে গাউন পাঠানো হয়েছে। পিপিইর পূর্ণাঙ্গ কোনো সেট দেওয়া হয়নি। পৃথকভাবে কোনোদিন গগলস, আবার কোনো সময় মাস্ক, গ্লাভস পাঠানো হয়। তবে এন-৯৫ মাস্ক এখনও পাঠানো হয়নি। বিকল্প হিসেবে কেএন-৯৫ মাস্ক পাঠানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

মানসম্পন্ন পিপিই ও মাস্ক সরবরাহের আহ্বান বিএমএর : চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বিএমএ চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের মানসম্পন্ন পিপিই ও মাস্ক সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা যুদ্ধের সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ সেবাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী আশঙ্কাজনক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত ২৯৫ চিকিৎসক, ১১৬ নার্স ও ২৪৯ স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ৬৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় ১১ শতাংশ।

স্বাস্থ্যকর্মীরা এভাবে আক্রান্ত হতে থাকলে আগামীতে চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ হাসপাতালে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য সঠিক মানের পিপিই, এন-৯৫ বা এর সমমানের মাস্ক সরবরাহ করা জরুরি। নন-কভিড হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে ট্রায়াজ সিস্টেম চালু করে সেখানে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত পিপিই, এন-৯৫ বা সমমানের মাস্ক দিতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো খবর