করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নদীতে জনসাধারণের অবাধে চলাচল নিয়ন্ত্রণ, শৃংখলা রক্ষা এবং নদীতে অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রেখেছে নৌ পুলিশ।
এ মাসের ০১ তারিখ থেকে শুরু করে ০৯ তারিখ পর্যন্ত ৯,৭১,৪৬,৭৯০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০৭,৫৮,৬৮,৭৫০ টাকা এবং ২,১৩৫ কেজি জাটকা মাছ, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬,৩৮,০০ টাকা উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ডিএমপি নিউজকে বলেন- জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সারা বছরই চলে তবে কঠোর ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয় মার্চ এবং এপ্রিল মাসে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ অভিযান শেষ হলেও নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল এবং অবৈধ জালের (নির্ধারিত মেষ সাইজের কম জাল) বিরুদ্ধে অভিযান চলবে সারা বছর।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন নদী থেকে এসব অবৈধ বা নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল উদ্ধার করলেও বেশ হিমশিম খেতে হয় নৌ পুলিশকে কারন একদিন একদিক থেকে জাল উদ্ধার করলে পরের দিন আবার নতুন করে নতুন জাল ফেলে। তাই নৌ পুলিশ অবৈধ জাল তৈরির কারখানায়ও অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে । অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে নতুন জাল তৈরি করতে না পারে।
জানা যায়, এর মধ্যে নৌপুলিশের মুক্তারপুরের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কবির হোসেন খান এ মাসে প্রায় নয় কোটি মিটার জাল উদ্ধার করেছেন। তার নেতৃত্বে নৌ পুলিশ মুন্সিগঞ্জ সদর থানার মালিপাথর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জাল উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও থানা মৎস্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মিরকাদিম পুলিশ লাইন্স মাঠে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে নদীতে পুশব্যাকের কার্যক্রম চলমান রেখেছে নৌ পুলিশ। দেশের বিভিন্ন নদীতে এপ্রিল মাসের ১১ তারিখ থেকে নৌ পুলিশের ২২টি জাহাজ মোতায়েনের পর ২৫,০০০ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে পুশব্যাক করা হয়েছে।