গত তিন সপ্তাহে কুয়েতের মরু এলাকায় ক্যাম্পে অসুস্থ হয়ে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। ওই বিশেষ ক্যাম্পে থাকা ৫ হাজার ভিসাহীন বাংলাদেশির দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। খাদ্য-পানির কষ্টে বিক্ষোভ করায় তাদের দমাতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
ইতোমধ্যে ওই ক্যাম্পের বিদ্যুৎ-ইন্টারনেটের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে করে আটকে পড়া ওইসব বাংলাদেশিদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশে ফিরতে কুয়েত সরকারের কাছে আবেদন করেন ভিসাহীন ওই ৫ হাজার বাংলাদেশি। গত তিন সপ্তাহ ধরে তাদের ইরাক-কুয়েত সীমান্তের মরুভূমিতে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
ক্যাম্পে পর্যাপ্ত পানি ও খাবার নেই বলে অভিযোগ করেছেন আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। এছাড়া তীব্র গরমে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওইসব ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের সাথে একই কারণে রাখা হয়েছে মিসরীয়দেরও। গত ৩ মে, রবিরার রাতে খাদ্যসংকটের প্রতিবাদে তারা একসাথে মিলিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে তা দমন করে নিরাপত্তা বাহিনী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, সর্বশেষ বিক্ষোভের ঘটনাটি তিনি জানেন না। তবে কুয়েতে থাকা দূতাবাস বাংলাদেশিদের চাহিদা পূরণে কাজ করছে।
এদিকে যেসব দেশ কুয়েত থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে না, আরব উন্নয়ন তহবিল থেকে সেইসব দেশ যেন কোনো অর্থ না পায় সেজন্য আবেদনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আব্দুল করিম আল কাণ্ডারি নামের একজন সংসদ সদস্য।