বড় বড় শপিং মলগুলো খোলা হলেও একমাত্র জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের প্রবেশ পথে ডেটল মিশ্রিত পানি দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে। এছাড়া আরও কোনও ব্যবস্থাই রাখেনি কোনও মার্কেট কর্তৃপক্ষ। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। দোকানগুলোয় সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে বেচাকেনা। যদিও দোকান মালিক সমিতিরসহ সভাপতি সুলতান আলম বুলবুলের দাবি, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গরীতে লকডাউন উপেক্ষা করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে।রংপুর জেলা সিভিল সার্জেন ডা. হিরম্ব কুমার জানিয়েছেন, রংপুর নগরী মার্কেট আর শপিং মলগুলোতে যেভাবে সামাজিক দূরত্ব না মানার প্রতিযোগিতা চলছে তাতে করে ঈদের পর করোনা সংক্রমনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাবে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. আমিন আহাম্মেদ জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন মেনে না চললে রংপুরে ভয়াবহ আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ফকরুল আনাম জানান, নগরীর মানুষকে বাঁচাতে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধ রাখা এবং যান চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
একই অভিযোগ করেন জনতার রংপুরের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মামুনুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘আগে জীবন তারপর ব্যবসা। কিছু ব্যবসায়ীর ভাব এমন যে মরে মরুক তাদের ঈদের আগে মার্কেট খোলা রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন রংপুর সিটি মেয়রের সঙ্গেও বৈঠক করেছি কিন্তু ফলাফল শূন্য।’
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে বেশ কয়েকবার ফোন করার হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।