বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১১:১০ অপরাহ্ন

ক্ষেতলালে শিক্ষক বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ

ক্ষেতলাল জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩
  • ৮৯
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষেতলাল উপজেলার সমন্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জোহা বদলির আবেদন করার পর তাকে বদলি না দিয়ে অনিয়ম করে তার স্থলে অন্য একজনকে বদলি করছেন। এ অনিয়মে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক শাহাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক ব্যক্তবর্গ।এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিভাবক শিক্ষকমণ্ডলীসহ সচেতন মহল।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, গত ০২/০৬/ ২০২২ ইং তারিখ থেকে ক্ষেতলাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হওয়ায় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমএবং পাঠদান মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়। উক্ত শূন্য প্রধান শিক্ষক পদে ক্ষেতলাল সমন্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জোহাসহ একাধিক প্রধান শিক্ষক বদলির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। বদলি হয়ে তিনি ১২ কিলোমিটার দূরত্বের এবং স্থায়ী ঠিকানায় কোনো বাসস্থান না থাকায় জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে আবেদন করেন। কিন্তু বদলির আদেশে শামসুজ্জোহার নাম নেই, অথচ তাকে বাদ দিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরত্বের ও প্রতিবন্ধী না হয়েও সেই তথ্য দিয়ে ইটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আছমাউল হোসনাকে ক্ষেতলাল সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। নিয়মানুযায়ী শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে জেলা বা উপজেলায় একই পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে তাদের মধ্যে যথাক্রমে দূরত্ব, লিঙ্গ, চাকরির জৈষ্ঠ্যতা, প্রতিবন্ধীতা, বিবাহ, স্বামীর মৃত্যু/বিবাহ বিচ্ছেদ এসব বিষয়ে বিবেচনায় অগ্রাধিকার নির্ধারণ করার কথা রয়েছে। বদলি নির্দেশিকার সকল শর্ত পূরণ করার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শামসুজ্জোহাকে বদলির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক বললেন গুগল ম্যাপে স্কুলের দূরত্বসহ সব প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে এবং আরও প্রয়োজনীয় তথ্য আবেদনে দেওয়ার জন্য আবেদন অনলাইনে ফেরত চাইলে সহঃ উপঃ শিক্ষা অফিসার এফাজুল হক তা ফেরত দেননি বলে জানান তিনি।
অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক ব্যক্তিবর্গ বলেন, অনিয়ম করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কম দূরত্বের ও প্রতিবন্ধী নয় অথচ প্রতিবন্ধী ভুল তথ্য দিয়া প্রধান শিক্ষিকা আছমাউল হোসনাকে বদলি করেছেন। সেক্ষেত্রে ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন শিক্ষা অফিসার।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহা বলেন, শিক্ষক বদলির নির্দেশিকায় দূরত্ব গুগল ম্যাপ ও এলজিইডির সহায়তায় নির্ধারণ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। আমরা যথাযথ নিয়মেই সেই বদলি বাস্তবায়ন করেছি। এ ক্ষেত্রে কোন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি।
অথচ ধামশুন্ডা সঃপ্রাঃবিঃ এর সহকারী শিক্ষিকাসহ অনেকের আবেদন দূরত্বের কারনে বাতিল করেছেন শিক্ষা অফিসার।

শেয়ার করুন

আরো খবর