মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রথম প্রহরে নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের খোঁজ মিলেছে। শনিবার রাতে তাকে বেনাপোলে পাওয়া যায়।
বোনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এসআই ওবায়দুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে বিজিবি এক ব্যক্তিকে তাদের কাছে দিয়ে যান। পরে তারা জানতে পারেন এই ব্যক্তিই নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। তখন তিনি কাজলকে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে দেন।
রোববার ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যরা শফিকুল ইসলামকে আনতে যাবেন। বিজিবির রঘুনাথপুর ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী বলেন, বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশের সময় সাংবাদিক কাজলকে আটক করা হয়।
গত ৯ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও স্টাফ রিপোর্টার আল আমিনসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। ওই মামলার তিন নম্বর আসামি ফটোসাংবাদিক কাজল। মামলার পরদিন ১০ মার্চ বিকেল ৩টার পর কাজল পুরান ঢাকার বকশীবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। রাতে বাসায় না ফেরায় ফোন করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর কাজলের ছেলে মনোরম পলক বাবাকে অপহরণের মামলা করতে নিউমার্কেট ও চকবাজার থানায় ঘুরছিলেন। কোনো থানা মামলা নিতে রাজি ছিল না বলে অভিযোগ ছিল কাজলের পরিবারের। পরে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন তারা। এরপর ১৮ মার্চ মামলা নেয় পুলিশ। কাজলের সন্ধান চেয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন মনোরম পলক।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ কাজলকে অপহরণ করেছে।
এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল এখন ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছেন।