সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ মে, ২০২০
  • ২২৪

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘জি র‍্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় সদস্যের কমিট গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তারা দ্রুত কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি।

কমিটির সদস্য কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু কমিটির প্রধানের নাম আমি বলতে পারবো, কেননা গণস্বাস্থ্যের তরফ থেকে কনফিডেন্সিয়ালিটি রক্ষার শর্ত দেওয়া হয়েছে আমাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্যের ‘জি র‍্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। সেদিন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান  জানান, ‘বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআর,বিতে অথবা দুই জায়গাতেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের ট্রায়াল কার্যক্রম (কার্যকারিতা পরীক্ষা বা পারফরমেন্স ট্রায়াল) চালানো হবে। তারা এই দুই জায়গাতে করতে চেয়েছেন, আমরা তাদের ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘পারফরমেন্স ট্রায়ালের পর ফলাফল দিলে আমরা তা মূল্যায়ন করবো, এরপরের ধাপে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। যদি ভালো হয় তাহলে রেজিস্ট্রেশন হবে, আর যদি কার্যকর না হয় তাহলে রেজিস্ট্রেশনই হবে না। কিট ভালো কাজ করে কিনা সেটা দেখতে হবে আগে, সেটা দেখার জন্যই পারফরমেন্স ট্রায়াল।’

উল্লেখ্য, ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে ওষুধ প্রশাসনের কাছে কিটের ট্রায়াল চালানোর অনুমতির জন্য দেনদরবার করে আসছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ শুরু করে। গণস্বাস্থ্য অভিযোগ তোলে ওষুধ প্রশাসন কিটের ট্রায়ালের বিষয়ে সহায়তা করছে না। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এর  আগে ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরে ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ‘জিআর র‌্যাপিড ডট ব্লট ইমিউনোঅ্যাসি’ কিট তৈরি করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। দলের অন্য সদস্যরা হলেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ।

শেয়ার করুন

আরো খবর