বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১২:২৬ অপরাহ্ন

গার্মেন্টস খুলে দেয়াটা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এসেছে,

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ মে, ২০২০
  • ২০৭

গার্মেন্টস খুলে দেয়াটা আমাদের জাতির জন্য, দেশের জনগণের জন্য একটি মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এসেছে। এমনটিই মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রস্তুতও ছিলাম না। এখন করণীয় হলো কীভাবে আমরা শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে পারি। পুলিশকে সুরক্ষা দিতে পারি। সাধারণ সুরক্ষা যেটা জনগণের জন্য সেই সুরক্ষা একজন সাংসদের জন্যও প্রযোজ্য। তিন ধরনের সুরক্ষা প্রয়োজন। শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে হলে ডিজইনফেকটেড আর্টস বা টানেলের কথা আমরা শুনেছি।

যেটা প্রবেশদ্বারে থাকে। এই টানেলটি ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং মুক্তি নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছে। এই টানেলটি প্রতিটি গার্মেন্টসে থাকতে হবে। গার্মেন্টসের প্রবেশমুখে রাখতে হবে। যাতে প্রতিটি শ্রমিক এই টানেলের মধ্যে দিয়ে যায় ডিজইনফেকটেড হয়ে। এতে তাদের পোশাক জীবাণুমুক্ত হয়ে গেল। প্রবেশের আগে তাদের ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে সব সময়। গার্মেন্টেস’র ভেতরে ম্যানেজমেন্টকে
মেশিনগুলো তিন ফিট দূরে সরিয়ে দিতে হবে। যাতে একজন শ্রমিকের আরেকজন শ্রমিক থেকে কমপক্ষে তিন ফিট দূরত্ব থাকে। তবে ৬ ফিট হলে ভালো হয়। ভেতরে যে টয়লেটগুলো থাকবে সেগুলি প্রতিদিন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। যে ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকরা কাজ করবে সেটাকে প্রতি ৪ ঘণ্টা পরপর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কারখানায় এখন যে টয়লেট আছে সেটা খুবই অপর্যাপ্ত। পর্যাপ্ত পরিমানে টয়লেট তৈরি করতে হবে। এছাড়া প্রবেশের আগে হাত ধোয়ার বেসিন বা কলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কারখানার চারপাশে জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। শ্রমিকরা যেহেতু অনেকে একসঙ্গে থাকে অতএব তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে তারা যখন বাসায় প্রবেশ করছে তখন যেন প্রবেশদ্বারে টানেলের ব্যবস্থা থাকে। এটা যদি ফ্যাক্টরির মালিকরা নিয়ন্ত্রণ করে সেক্ষেত্রে সেখানেও তাদেরকে এটা করতে হবে। শ্রমিকরা নিজ দায়িত্বে যেখানে ভাড়া থাকেন সেক্ষেত্রে বাসায় গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের জামা-কাপড় অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এগুলো করে যদি তারা থাকতে পারে তাহলে শ্রমিকদের মধ্যে যেটা (করোনা) ছড়াচ্ছে সেটা কমবে। পুলিশ সদস্যরা যেহেতু ব্যারাকে থাকে। তারা যখন কোভিড এবং ননকোভিড হাসপাতালে ডিউটিতে থাকবে তাদেরকে অবশ্যই পিপিই পরতে হবে। তারা যে ব্যারাকে থাকে সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুরক্ষায় যে ব্যবস্থাগুলোর কথা বলেছি সেগুলো থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো খবর