শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০২:০১ অপরাহ্ন

ডিএসই পরিচালক মিনহাজ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০
  • ১৭০

রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারের শীর্ষ স্থানীয় একটি ব্রোকারেস হাউজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ইমনকে।

র‌্যাবের করা এক মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, তার মধ্যে জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিলও রয়েছেন।

মঙ্গলবার এই মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার আটক করা হয় মিনহাজ মান্নানকে।

বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একজন পরিচালক।

রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব-৩।’

র‌্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের করা এই মামলায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোর ও মুশতাককে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার কিশোর ও মুশতাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- দিদারুল ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান, আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ফেসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেয়া হচ্ছিল বলে র‌্যাবের দাবি।

হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের ‘ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ’ পাওয়ার দাবিও করেছে র‌্যাব।

দিদারুল ও মিনহাজ ফেসবুকে মুশতাকের ‘ফ্রেন্ড’ উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ‘তাদের সাথে হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

আরো খবর