রোদ কিংবা বৃষ্টি মাথায় নিয়েও সূর্য ওঠার আগে তারা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন প্রতিদিনের খবরের কাগজ। পাঠকের কাছে তাদের পরিচয় ‘হকার’। করোনা সংকটে সিলেটের আঞ্চলিক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ; গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আসছে না জাতীয় পত্রিকাও।
এতে কর্মহীন হকাররা ভালো নেই। দুঃসময় কাটছে তাদের। তবে এই দুঃসময়ে তাদের ভোলেননি সিলেটের দুটি পত্রিকার মালিকপক্ষ। সিলেটের সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত ‘দৈনিক সিলেটের ডাক’ কর্তৃপক্ষ হকারদের মাঝে আগেই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। এবার সিলেটের জনপ্রিয় আরেক পত্রিকা ‘দৈনিক সিলেট মিরর’ কর্তৃপক্ষ তাদের নগদ এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে।
এ দুটি পত্রিকার কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. জেদান আল মুসা সহায়তা নিয়ে কর্মহীন হকারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি রাতের আঁধারে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে দিয়েছিলেন চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
পুলিশ কর্মকর্তা জেদান আল মুসা বলেন, যারা নিয়মিত পত্রিকা পড়ে অভ্যস্ত হকাররা তাদের কাছে আত্মীয়ের মতো। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে এই মানুষগুলো ঘুম ভাঙার আগেই বাসায় বাসায় পত্রিকা পৌঁছে দেন। একনিষ্ঠভাবে তারা এ কাজ করে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত- এমন উপলব্ধি থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সম্প্রতি সিলেট মিরর কার্যালয়ে হকারদের আর্থিক অনুদান তুলে দেন বারাকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রব্বানী চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সিলেট মিরর পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ নূর, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর শাফী চৌধুরী এলিম, সিলেট মিরর-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবদুল ওয়াছেহ চৌধুরী জুবের, জিএম (প্রশাসন) খন্দকার সাদেকুর রাজা ও সার্কুলেশন ম্যানেজার রিপন চৌধুরী।
হকারদের পক্ষে অনুদান গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর হকার্স সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, উদয়ন এজেন্সির স্বত্বাধিকারী সিকান্দর আলী ও আলমগীর এন্টারপ্রাইজের মো.হাফিজউল্লাহ।