সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০১ অপরাহ্ন

পাওনা টাকা চেয়ে গালি শুনতে হলো রুমানাকে

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ মে, ২০২০
  • ২৪৯

নারী জাতীয় দলের অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ গতবছর প্রিমিয়ার লীগে খেলেছিলেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হয়ে। ৭ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে ৪ লাখ টাকা এখনো বকেয়া রয়ে গেছে। অথচ লীগ শেষ হয়ে গেছে এক বছরেরও বেশি আগে। পাওনা পারিশ্রামিকের কথা বলতে গেলে শেখ রাসেলের ম্যানেজার জাকির অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রুমানার।

সারাবাংলা ডটকমকে রুমানা বলেন, ‘গত বছর ক্লাবকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পাওনা টাকা। আমাকে কিছু দিয়েছে, অন্যান্য মেয়েদেরও কিছু দিয়েছে। ১৫ লাখ টাকা আমরা শেখ রাসেলের কাছে পাই। গতবছর হঠাৎ করে দল করেছিল শেখ রাসেল।

যেহেতু কোনো প্লেয়ার ছিল না, দলটা তো নতুনই। তাছাড়া এই টুর্নামেন্টে গতবছর ওরা প্রথম খেলেছিল। পাওনা টাকা দূরের কথা দেশের এমন সময় বিন্দু মাত্র সাহায্যও করছে না। সাইনিং মানিও দেয়নি। আমার চুক্তি ছিল ৭ লাখ। এর মধ্যে ৩ লাখ দিয়েছে। বাকিটা আজও দেয়নি। দলের অন্যদেরও একই অবস্থা।’

‘আমার দলে জাতীয় দলের আরো যে ৪ জন ছিল তাদেরও একই অবস্থা। শায়লা শারমিনের সঙ্গে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছে কিন্তু ওকে দিয়েছে মাত্র ২ লাখ টাকা। বলছে দিব, দিচ্ছি। যেহেতু বিসিবি’র টুর্নামেন্ট, তাই সিইও’র মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছি কিন্তু ওরা পাত্তা দেয়নি। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে কোনো টাকা দেবে না, খোঁজ খবর রাখবে না এটা কি করে হয়? এখন আবার আমাকে বলে আমি নাকি খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘের সাথে ম্যাচ ফিক্স করেছি।’

‘শেখ রাসেল শুধু নিজেদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমি টাকার জন্য ফোন করেছিলাম। কিন্তু আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। করোনার জন্য বসে আছি। শেষ হলে প্রতিবাদ করব। আমি প্রেসিডেন্ট (নাজমুল হাসান পাপন) স্যারের কাছে যাব, আমাকে ওরা এভাবে গালাগালি করার করার সাহস কোথা থেকে পেল?’

রোমানার অভিযোগ নিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি সুজন বলেন, ‘আমার এই মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না। তবে এই ধরণের বিষয় যদি আমাদের কাছে আসে আমরা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখব। কোন টুর্নামেন্ট সেটা নির্দিষ্ট করে দেখে যদি মনে হয় আমাদের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অভিযোগ সত্য তাহলে আমরা দেখব।’

শেখ রাসেলের ম্যানেজার জাকির উল্টো রুমানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘রুমানাকে আমি বকাবাজি করেছি এটা কে বলছে? রুমানাই প্রথমে তুই বলে কথা শুরু করেছে। তো রুমানার মতো মানুষ যদি আমাকে তুই করে কথা বলে তখন তো আমিও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারি না। সে নারী দলের অধিনায়ক, ঠিক আছে, তাই বলে তো আর আমাকে তুই বলে কথা বলতে পারে না। আমি স্রেফ একজন ম্যানেজার। সে টাকার জন্য ফোন দেবে আমার উর্ধ্বোতনদের কাছে। আমার কাজ খেলা চালানো। তবে এটা বলতে পারি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে যত দ্রুত সম্ভব সবার টাকাই পরিশোধ করে দেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

আরো খবর