ভারতে গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম করায় মেয়ের গলাটিপে হত্যা করলেন মা-বাবা। এমনকি গোপনেই মেয়ের শেষকৃত্যও সম্পন্ন করেন তারা। পাঞ্জাবের হোসিয়ারপুরের এই ঘটনায় ওই পরিবারের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের একজন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
পাঞ্জাব পুলিশের সূত্র মতে, মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে গত ২২ এপ্রিল পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই তরুণীর মা বলবিন্দর। ওই অভিযোগে বলা হয়, মেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। এই ঘটনায় আমনপ্রীত সিং ওরফে আমন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে সন্দেহের কথাও জানান তিনি। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
বলবিন্দর বলেন, ‘ভজলান গ্রামের বাসিন্দা আমান এই ঘটনায় জড়িত।’ এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বলবিন্দর পুলিশকে জানান, স্থানীয় গড়শঙ্কর রেল স্টেশনের কাছে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় গোপনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো আমনপ্রীতের। প্রেমিকের বাড়িতেই গিয়েছিলন ওই মেয়ে। এরপর তার পরিবারের লোকেরা তাকে খুঁজে বের করেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জোর করে ফিরিয়ে আনে বাড়িতে।
পুলিশের দাবি, ঘুমের ওষুধ দিয়ে মেয়েকে অচেতন করেন তারা। পরে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। ২৫ বা ২৬ এপ্রিলের রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান তারা।
এ বিষয়ে গড়শংকর এলাকার স্টেশন হাউস অফিসার ইকবাল সিং জানান, গোপান সূত্রে তিনি খবর পেয়েছিলেন সোলির শ্মশানে গোপনে মেয়েটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপরই জোরদার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দ্রুত খুনিদেরকেও পেয়ে যান পুলিশ। এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা, মা, কাকা, দাদা ও তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।