কামরুন্নাহার পুতুল গত তিন দিন ধরে করোনার উপসর্গ নিয়ে বাসায় অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।
কামরুন্নাহার পুতুল প্রয়াত সাংসদ মোস্তাফিজার রহমান পটলের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জননী ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কামরুন্নাহার পুতুল তৎকালীন বগুড়া-জয়পুরহাট জেলার সংরক্ষিত নারী আসনে সাংসদ মনোনীত হন। তার স্বামী মোস্তাফিজার রহমান পটল ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বগুড়ার গাবতলী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কামরুন্নাহার পুতুল রাজনীতিতে যোগদানের আগে রূপালী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, কামরুন্নাহার পুতুল ক’দিন আগে তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর থেকে তিনি অসুস্থতা বোধ করেন।
তিনি আরো বলেন, তার শারীরিক সমস্যাগুলো করোনা উপসর্গের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে করোনা সন্দেহভাজন হিসেবেই তার লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।