মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:২২ অপরাহ্ন

বনানীতে অবৈধ ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী জনি এখন স্পা ব্যবসায়ী !

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৯৭
স্পা বাণিজ্য

রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে রাজনৈতিক সহিংসতা। এতে ডিএমপির পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু অবৈধ কারবারী বিরুদ্ধে নজর নেই বললেই চলে। তেমনি এই সুযোগে পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কারবারীরা তাদের আপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে নির্ভিগ্নে। এমন এক অভিযোগ পাওয়া যায় রাজধানীর বনানীতে স্পার আড়ালে অনৈতিক বাণিজ্য তথা দেহ ব্যবসা। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকলেও এরা থেমে নেই এধরনের অনৈতিক কার্যক্রম থেকে। যাদের খদ্দের উঠতি বয়সের বৃত্তবান পরিবারের সন্তানসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিরা। এসব ব্যবসা ঘিরে প্রতিদিন লেনদের হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গুলশানের আবাসিক ও অফিস পাড়ায় নামে বেনামে গড়ে উঠেছে স্পা সেন্টার। জানা গেছে. রোড নং—২,হাউজ নং—২৬ এর তৃতীয় তলায় জনিসহ কয়েকজন নারীপাচার চক্রের সদস্যরা একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে এধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এছাড়া নারী চক্রের সদস্যরা চুপি চুপি করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে এমনটাই দৃশ্য চোখে পরে এবং জনসমাগমও ভাল। ভিতরে ঘরগুলোতে ছোট ছোট ঘরের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে কেবিন। যেকানে বাইরে থেকে ভিতরে কি হচ্ছে তা কোনোভাবেই বোঝার উপায় নাই। বিভিন্ন রংয়ের আলোয় ঝলমল করছে স্পা সেন্টারগুলো। তবে বাইরের হালচাল দেখে বোঝার উপায় নাই এগুলো স্পা সেন্টার কিনা।
সূত্র জানায়, এর আগে এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছিল। তাৎকালীন সময়ে আধরনের অবৈধ স্পা সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিযান শেষ হলেই তার কয়েকদিন পর আবারো শুরু করেন স্পার নামে তথা দেহ ব্যবসা। এছাড়া খদ্দেরদের আকর্ষণ বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও চালায় তারা। সেখান থেকেই ফোন নাম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। কোনো রকমের সন্দেহ হলেই ভুল ঠিকানা দিয়ে এড়িয়ে চলা হয়।
পরিচয় গোপন রেখে স্পা সেন্টারের কর্ণধর জনি নিকট পুলিশের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমাদের ব্যাপার পুলিশের বিষয়টি আমরা ম্যনেজ করে চলি। আমরা তাদেরকে প্রতিমাসে মাসোহারা দিয়ে দির্ঘদীন ধরেই এব্যবসা চালিয়ে আসছি। তাই সে ব্যপারে কোনো সমস্যা নাই। সূত্র মতে, স্পা সেন্টারগুলোতে একেকজন খদ্দেরকে মনোরঞ্জনের বিশ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। যার ষাট শতাংশ পায় স্পা সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন: রাস্তা দখল করে বসে পড়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বনানীর একটি স্পা সেন্টারে কাজ করে এমন একজন জানান, শুধু বডি মেসেজ করলে যা বেতন পাই তা দিয়ে চলে না। বাড়তি কিছু কামাই করার জন্যই এ সব করি। যারা এ সব জায়গায় আসেন তাদের বডি মেসেজের দিকে আকর্ষণ কম থাকে। যার ফলে আমরাও সেই দিকে গুরুত্ব বেশি দেই। দিন শেষে আয়ও ভাল হয়।
এদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিয়ত অসংখ্য লোকের যাতায়ত রয়েছে ফ্ল্যাটটিতে। কিছুখন পর পরই আসছে যাচ্ছে। আর স্পা সেন্টারের দেহব্যবসায়ীরা ভোরে বোকরা পরে উঠতে দেখা যায়। তবে এতে এলাকার সামাজিক ভারসম্য কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে সেটা পুলিশ প্রসাশন ভাল বলতে পারবে। কারন তারা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার করে এবং মামলাও দেন। তারপরও তারা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে এসে আবারো এধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। আরো বিস্তারিত আসছে…

আরো পড়ুন: যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খুললেন এ জনপ্রিয় অভিনেত্রী

শেয়ার করুন

আরো খবর