তারই জন্মদিনের পার্টিতে তিনি যান। দারুণ উপভোগ করেন। যদিও বাকি অতিথিরা নাকি উপস্থিত ছিলেন জুম-এ। খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজুড়ে শোরগোল। ভারত বলছে, কণিকা কাপুরের দলও তাহলে ভারী হচ্ছে! এমন খামখেয়ালিপণার জন্য ইতিমধ্যেই ম্যাডোনাকে দুষছেন চেনা-অচেনা সবাই। তার কোয়ারেন্টিন সঙ্গী এবং সন্তানদের কথা একবারও ভাবলেন না ম্যাডোনা! বিশেষ করে দুই ছোট সন্তানের কথা। পার্টিতে উপস্থিত এক অতিথি যদিও মাস্ক পরেছিলেন। এবং সামাজিক দূরত্বও মেনে চলেছেন। প্রসঙ্গত, আক্রান্তের দিক থেকে চীনের পরেই আমেরিকার স্থান। যদিও ম্যাডোনার ম্যানেজার মিশেল এল রুইজ একটি ভিডিও শেয়ার করে জানিয়েছেন, ম্যাডোনা নিজের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে স্টিভেনের জন্মদিন উদযাপিত হয়। মাত্র পাঁচজন এসেছিলেন পার্টিতে। সবাই একমাস কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। সবার মুখে মাস্ক ছিল। সামাজিক দূরত্বেও ছিলেন সবাই। এভাবে ভুয়া খবর রটিয়ে ম্যাডোনা আর তার সন্তানদের ক্ষতি করছেন আসলে সবাই। এখানেই শেষ নয়! গেল সপ্তাহেই ম্যাডোনা পোস্ট করে জানিয়েছেন, লং ড্রাইভে বেরিয়েছিলেন তিনি। কারণ, তার শরীরে নাকি করোনা অ্যান্টিবডি আছে! সেই সাহসে ভর করেই কোভিড-১৯ ছড়ানো বাতাসে শ্বাস নিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তার আগে যদিও কোয়ারান্টাইনে ছিলেন।
এর আগে, মহামারী নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে সমালোচিত হয়েছেন ম্যাডোনা। তার দাবি, আপনি কতটা ধনী, বিখ্যাত, মজাদার, স্মার্ট, কোথায় থাকেন, কত বয়স, কোনো বিশেষ ক্ষমতা আছে কিনা আপনার- সেসব নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই করোনার। সবাই এর চোখে সমান। এই মন্ত্যবের পরেই তিনি ট্রল হন। গত মাসে করোনার কারণেই তার শো বাতিল করেছিলেন পপ সম্রাজ্ঞী।