জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রামে বিনা চিকিৎসায় মারা যান এক প্রবাসী। তার নমুনা পরীক্ষার পর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ওই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।
গতকাল ৪ মে, সোমবার সকাল ৭টার দিকে সেকান্দার হোসেন (৪৫) নামের এই প্রবাসী ব্যক্তি নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন এনায়েত বাজারের বাটালি রোডের নিজ বাসায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। রাতে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়। এরপরই তার বাড়ি লকডাউন করা হয়।
জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন সেকান্দার। ১৫ দিন আগে প্রথমে তার হালকা জ্বর দেখা দেয়। এরপর তা সেরেও যায়। কিন্তু এর কয়েকদিন পর আবার জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। সেই সাথে দেখা দেয় সর্দি ও শ্বাসকষ্ট।
এ অবস্থায় সেকান্দারের স্বজনরা তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া কোনো হাসপাতালেই তাকে ভর্তি নেয়নি। নমুনা দেয়ার পরও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার ধীরগতিই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ বিষয়ে জানান, মারা যাওয়া প্রবাসীর নমুনা আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কবরস্থানে দাফন কাজ করেছে। রাতে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
তাকে নিয়ে এ জেলায় করোনায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘আমাদের করণীয় কিছুই ছিল না। বিআইটিআইডি থেকে করোনার নমুনার ফলাফল পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে।’
আর সিএমপি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘সোমবার করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া প্রবাসীর রিপোর্ট রাতে পজেটিভ এসেছে বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানোর পর আমরা এনায়েত বাজারের বাটালি রোডে অবস্থিত ওই প্রবাসীর ভবনটি লকডাউন করেছি।’