করোনা মহামারি আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে নেতিবাচক ধারায় দেশের অর্থনীতি। ডলারের বিপরীতে টাকার রেকর্ড দরপতন। মূল্যস্ফীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া। মানুষের আয় বাড়ছে না, কিন্তু নিত্যপণ্য ও সেবার দাম বেড়েই চলেছে।এই বাস্তবতাসহ নানামুখী চাপের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে’ যাত্রার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভোটের আগে নতুন অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের ৫২তম এই বাজেটে তিনি ধনীদের করছাড় দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের ওপর করজাল বিস্তার করেছেন।উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, চারটি মূলস্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবেবাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে রাজস্ব আহরণের দুর্বলতা সেই লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এর সঙ্গে ভর্তুকি আর ঋণ পরিশোধের চাপ তো রয়েছেই।
প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় বাবদ চার লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ ৮২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। পাশাপাশি মূলধন ব্যয় ৩৯ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম বাবদ ব্যয় হবে আট হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া খাদ্যে ব্যয় হিসেবে ৫০২ কোটি টাকা রাখা হয়েছেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত পূরণে কঠিন চাপে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আইএমএফের অনুমোদিত ঋণের বড় শর্ত হচ্ছে, রাজস্ব খাতে সংস্কার আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী অর্থবছর থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.৫ শতাংশ বাড়িয়ে কর আদায় করতে হবে।