সেখানে তামিম বলেন, মাশরাফি সবসময়ই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কই থাকবেন। অন্তত তার কাছে। মাশরাফিও নতুন নেতা তামিমের প্রশংসা করে বলেন, তামিম নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ দলকে অনেক সামনে নিয়ে যাবে। মাশরাফি মনে করেন, তামিমের হাত ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পরের ধাপে যাবে। কারণ তার মধ্যে নেতৃত্বগুণ সহজাত। কোন ট্যুরে গেলে দল কোথায় কিভাবে যাবে, কখন বের হবে এসব তামিমই ঠিক করেন।
মাশরাফি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড তোকে দায়িত্ব দিচ্ছে। তুই নিবি না কেন। দায়িত্ব দিলে নিবি না, তা হয় না। শ্রীলংকায় তুই ভালোভাবে নেতৃত্ব গ্রহণ করিস নি। সেটা যা হওয়ার হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত তোর কথায়, তোর কাজ-কর্ম, নেতৃত্ব দেখে মনে হচ্ছে তুই ঠিক পথেই আছিস। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইনশাল্লাহ তোর হাত ধরেই পরবর্তী ধাপে যাবে।’
তামিম প্রতিউত্তরে জানান, মাশরাফির কাছ থেকে যে নেতৃত্বগুন পেয়েছেন সেগুলো ঠিকঠাক মাঠে প্রয়োগ করবেন। নিজেরও কিছু থাকবে। মাশরাফি তখন বলেন, ‘আমি সবসময়ই চাই, তামিমরা ভালো করুক। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিক। আমি সত্যিই গর্বিত। আমি তোদের সঙ্গে খেলছি। তুই (তামিম) সব ফরম্যাটে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এবং তার চেয়ে বড় কথা ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার। এরই মধ্যে সে বিশ্বের সর্বসেরাদের একজন। ক্যারিয়ার শেষ করবে তাদের চেয়ে আরও অনেক দূর গিয়ে।
মুশফিক যখন ক্যারিয়ার শুরু করলো তার গড় ছিল ২০-২২ এর মতো। সেখান থেকে সে ৩৫-৩৬ এ নিয়ে গেছে।’ তামিম কথা কেড়ে নিয়ে বলেন, ‘শেষ তিন-চার বছরে ওর গড় রান ৫০ এর কাছাকাছি। মাশরাফি তখন বলেন, চারে ব্যাটিং করে গড়ের হিসেবে এখন সে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। চারে যেসব তারকারা ব্যাটিং করে সেই তুলনায় এটা বড় ব্যাপার। মাহমুদুল্লাহ হলো ভিভিএস লক্ষ্মনের মতো। দলের প্রয়োজন হচ্ছে না রান করছে না। দলের প্রয়োজন হলেই এগিয়ে আসছে।’