ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ ক্রিকেটারের তালিকাটা দীর্ঘ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রিকেটারদের ফিক্সিংয়ে প্রলুবদ্ধ করেছেন এমন তালিকায় ভারতীয় জুয়াড়িদের নাম রয়েছে সবার আগে। ক‘দিন আগেই সাকিব আল হাসানকে ফাঁসানো ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। কয়েকবছর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। যদিও সেটি প্রমাণিত হয়নি। পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ মনে করেন, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের আঁতুর ঘর ভারত। তিনি মূলত ক্রিকেটে ভারতীয় জুয়াড়িদের দৌরাত্ম বোঝাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রথম মহাতারকা হ্যান্সি ক্রনিয়েকে ফিক্সিংয়ে প্রলুব্ধ করেছিলেন ভারতীয় জুয়াড়ি সঞ্জয় চাওলা। বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতে নাকি চারটিরও বেশি শক্তিশালী চক্র রয়েছে।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ফিক্সিংয়ে তাদের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। এই চক্রগুলো মূলত মুম্বাই, নাগপুর ও দিল্লিভিত্তিক। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে আকিব জাভেদ বলেছেন, ‘আমি মনে করি ম্যাচ পাতানোর আঁতুর ঘর ভারত। আইপিএল নিয়ে এ নিয়ে (ম্যাচ পাতানো) এর আগে প্রশ্ন উঠেছে।
পাকিস্তানের হয়ে ২২ টেস্টে ৫৪ ও ১৬৩ ওয়ানডেতে ১৮২ উইকেট নেয়া সাবেক এই প্রতিভাবান পেসারের দীর্ঘায়িত হয়নি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি ফিক্সিংয়ের বিপক্ষে কথা বলেছিলাম। তাই আমার ক্যারিয়ার দ্রুতই শেষ হয়ে গেছে। এজন্য আমি পাকিস্তানের প্রধান কোচও হতে পারিনি।
ফিক্সিংয়ের দায়ে ২০০০ সালে আজীবন নিষিদ্ধ হন সেলিম মালিক। সেসময় বিচারিক আদালতে সেলিম মালিকসহ আরো কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের নামও বলেছিলেন আকিব। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় আদালতে বলেছিলাম, একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে ফিক্সিং করা সম্ভব হয় না। এর সঙ্গে আরো পাঁচ-ছয়জন ক্রিকেটার জড়িত। আমি যেটা দেখেছি এবং শুনেছি সেটাই ওই সময় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বলেছিলাম।