অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার প্রিয়মুখ। ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি খন্ড নাটকেও তাকে নিয়মিত দেখা যায়। পাশাপাশি কাজ করছেন বিজ্ঞাপনচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে। করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে অবস্থান করছেন বাসাতেই। ঘরবন্দি সময় কাটছে কিভাবে? এ প্রশ্নের উত্তরে নাদিয়া বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে পছন্দ করি। অভিনয়ে আসার পর নিয়মিত আঁকার কাজটি করা হতো না। এখন যেহেতু সময় পেয়েছি তাই আবার ছনি আঁকা শুরু করেছি।
প্রতিদিনই কিছু না কিছু আঁকার চেষ্টা করছি। এছাড়া বাসায় মা-বাবা ও নানুর সঙ্গে গল্প করছি। মাঝে মাঝে ছাদে উঠে শহরটা দেখার চেষ্টা করি। আর কাজিনদের সঙ্গে নিয়মিত দাবা খেলছি। মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করি। ইতোমধ্যে নিজের পছন্দের কয়েকটি আইটেমও রান্না করেছি। সত্যি বলতে, নিজের মতো করে সময়টা কাটানোর চেষ্টা করছি। একজন শিল্পী হিসেবে নাদিয়ার টিভি নাটক নিয়ে প্রত্যাশা কি? তিনি বলেন,
একজন শিল্পী হিসেবে আমি চাই এ শিল্পটিতে প্রতিনিয়ত কন্ট্রিবিউট করতে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। তারপরেও টিভি নাটকের আকাশচুম্বী দর্শক রয়েছে। সত্যি বলতে, ভালো নাটক তৈরি না হলে লোকে দেখত না। আমার মতে, আমদের টিভি নাটকের অবস্থান অনেক ভালো। সেটা বোঝা যায় ঈদ কিংবা বিশেষ দিবসগুলোতে। তাই এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এবারের চিত্রটা ভিন্ন। লকডাউনের পূর্বে এই অভিনেত্রীর খন্ড নাটকেই বেশি কাজ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করি। কাজের মাধ্যম যাই হোক, চেষ্টা থাকে দর্শকের সামনে ভালো কিছু নিয়ে হাজির হওয়ার। কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে কাজের সুযোগ হয়েছে। মিউজিক ভিডিওতে দর্শক আমাকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করেছে। এর শুরুটা হয়েছে ‘ইচ্ছে ডানা’ শিরোনামে মিউজিক ভিডিও থেকেই। আমার আর জোভানের সে সময় এ মিউজিক ভিডিও সুপারহিট হয়েছিল। আর ইতিবাচক সাড়া পেলে এমনিতেই কাজে আগ্রহ বাড়ে। ছোট পর্দার বাইরে এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে বলেও জানান। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে কাজের ইচ্ছে আছে। বেশ কয়েকটি কাজের প্রস্তাবও পেয়েছি। ব্যাটে বলে মিলেনি বলে সেসব কাজ করা হয়নি। সব কিছু মিলে গেলে ভবিষ্যতে বড় পর্দায় দেখা যেতেও পারে। এদিকে এখন সিয়াম সাধনার মাস। অন্যদিকে লকডাউনে অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ কষ্টে দিন যাপন করছেব। এই সময়ে বিত্তবানরা গরীব-দুঃখীদের পাশে থাকবেন বলেও প্রত্যাশা করেন।