প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে শ্যামনগর উপজেলায় গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের তিনদিন অতিবাহিত হলেও ভাঙ্গন কবলিত স্থান দিয়ে নদীর জোয়ারের লবণ পানি উঠা নামা করছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। ইতিমধ্যে পানিবান্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাউবোর গাফিলতির কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকাল ১০টায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, পাউবোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার এসএম রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালসহ পাউবো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গাবুরার লেবুবুনিয়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে, গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া গ্রামে পাউবোর বেড়িবাঁধের ৩৩৫ মিটার খোলপেটুয়া ও কবাতক্ষ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র ¯্রােতের বেগে ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করে গাবুরার ৬টি গ্রাম, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ৭টি গ্রাম ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নে ৭টি গ্রাম প্লাবিত প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। আর পানিতে ভেসে গেছে ছয় হাজারের মত চিংড়ি ঘের। প্লাবিত এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।।
পরিদর্শন শেষে কবির বিন আনোয়ার বলেন, তিন বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত পাউবোর বেড়িবাঁধ টেকসই মজবুত ও সংস্কারের কাজ করা হবে।