দেশের অর্থনীতি বেশ কিছুদিন ধরে চাপের মধ্যে রয়েছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম চড়া। রপ্তানি খাত সংকটে। প্রবাসী আয়ে গতি কম। ডলার সংকটের মধ্যে টাকার দর ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে পতন হয়েছে। রাজস্ব আয়ও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ হচ্ছে না। এদিকে সামনে জাতীয় নির্বাচন। রাজনৈতিক সরকারের নির্বাচনী ভাবনা থাকে। অন্যদিকে বাজেটের দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে আইএমএফের। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের জন্য সংস্কার পদক্ষেপ নিতে হবে বাজেটে। এসব পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রিয় নাও হতে পারে।
আরো পড়ুন: কোনো দলের উদ্দেশে নয়, সুন্দর নির্বাচনের জন্যই মার্কিন ভিসা নীতি
বাজেট আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর পঞ্চম বাজেট। একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও এটি পঞ্চম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের আগের দুই মেয়াদের ১০টি বাজেট দেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বর্তমান সরকারের মেয়াদের সর্বশেষ বাজেট হওয়ায় এবারের বাজেটটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এবারের বাজেটের মূল দর্শন হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। গত দেড় দশকে বর্তমান সরকারের অধীনে দেশের অর্জন একটি টেকসই ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে– স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি।
আরো পড়ুন: যুবদলও ছাত্রদলের ৩৫ নেতাকর্মীকে জামিন
আগামী বাজেটের ভর্তুকির একটা বড় অংশ যাবে চলতি অর্থবছরের বিদ্যুতের দায় মেটাতে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ছিল ১৭ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগ এ খাতে অতিরিক্ত সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দাবি করার পর সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়। আগামী বাজেটে এ খাতে রাখা হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।চলতি অর্থবছর কৃষি খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ভর্তুকি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে এ খাতে রাখা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। সরকার এরই মধ্যে সব ধরনের সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বাড়িয়েছে।
আরো পড়ুন: পা ভেঙেছে হলিউড অভিনেতার