গুলশান বনানীতে জাফরের প্রতারনার ফাঁদে অনেকেই বিভিন্ন পেশাজীবি মুনুষ হয়রানীর শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে তিনি নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো পুলিশর কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি—বেসরকারী এবং ব্যবসায়ীদের নিকট হতে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যাহা বিভিন্ন পত্র—পত্রিকায় বিভিন্ন একাধিক শিরোনামে উঠে আসা প্রমানিত। শুধু তাই না বর্তমান দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছোট ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে গুলশান বনানীতে গড়ে তোলেছে প্রতারণার বড় ফাঁদ।

আরো পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
তার প্রতারণার খপ্পরে পড়ে ইতোমধ্যে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। এমনো অভিযোগ রয়েছে সরকারী কর্মকর্তাকে পত্রিকায় খবর প্রকাশের হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত গুলশান বনানীর এই প্রতারকের নাম আবু জাফর এবং তিনি গুলশান বনানীতে জোড়পূর্বক অবৈধ স্পা সেন্টার পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক নারী স্পা ব্যবসায়ীকে হাত করে তাকে বিয়ে করে গুলশানে একটি স্পা সেন্টার অবৈধভাবে ক্ষমতার দাপটে দখল করে রেখেছেন। এমনকি গড়ে ওঠা স্পা সেন্টারটির মালিক ও বাড়ির মালিককে একাধিকবার তার সহধর্মিনী নারী ব্যবসায়ী ইভা ও জাফর মিলে তাদেরকে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে বলে প্রমান পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন: কৃষকের ধান রোপণ করে দিয়েছেন ওয়ার্ড কমিশনার ও এলাকাবাসী
আরো জানা গেছে, গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নাম ভাঙ্গিয়ে লাখ টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন এবং তার নিকট দখল করা উক্ত স্পা সেন্টারটির জাফর ও লাবনী আক্তার ইভার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে বলে জানান।
গুলশান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বিএম ফরমান আলী বলেন, কোন ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

আরো পড়ুন: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বাসচাপায় পথচারী নিহত
একাধিক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গুলশান বনানী কেন্দ্রিক গড়ে উঠা স্পা সেন্টারগুলোতে প্রয়শ যাতায়াত করতেন এই প্রতারক এবং নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে ফাঁদ পাতে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগীরা জানায়, কখনো নিউজ ২৪, আবার কখনো জাগড়নী টিভির বার্তা সম্পাদকসহ বিভিন্ন মহলে পরিচয় দিয়ে এধরনে কর্মকান্ড করে আসছে। যাহা মূল ধারার সংবাদিকদের উপর প্রভাব পরে ও তিনি কোন সাংবাদিক সংগঠনের সাথে জড়িত নেই বলে তদন্ত সূত্রে জানা যায়। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সম্মান হানি হচ্ছে বিধায় প্রশাসনের প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। তিনি মূলত কোন সাংবাদিক নন। আর যদি তাই হয় তাহলে একজন সাংবাদিক কখনো অবৈধ স্পা ও নারী ব্যবসায়ী হতে পারে না বা বিভিন্ন স্পা সেন্টারে গিয়ে মাসোহাড়া দাবী করতে পরে না। এমনিতে স্পা ব্যবসা নিয়ে সমাজে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। গুলশানের স্পা সেন্টারের মালিক ভুক্তভোগী এক নারী ব্যবসায়ী বলেন, ডিসি সাহেবের নাম করে তার নিকট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তিনি সেই টাকা নিজেই মেরে দিয়েছেন। এই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।

আরো পড়ুন: ডিভোর্স ডিনয়ে ফটোশুট দক্ষিণী অভিনেত্রী
সম্প্রতি, তার ব্যবসার এক সমস্যার সমাধানের কথা বলে কয়েক দফায় আরো কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবু জাফর পেশায় কোন সাংবাদিক না। তার প্রতারণাই তার মূল পেশা। যেখানে যার নাম ভাঙ্গানো বা পরিচয় দেয়া প্রয়োজন সেখানে সেটা ব্যবহার করে। সম্প্রতি গুলশানে এক স্পা সেন্টারে অভিযান পরিচালনার সময় এক তরুণী আত্নহত্যা করেন। এ ঘটনাকে পূঁজি করে এক সরকারী কর্মকর্তার নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

অণ্যদিকে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, আমি তার ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার জন্য গুলশান, বনানী এবং বাড্ডা থানার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছি। আর তার দ্বারা প্রতারিতদের অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি ও বনানী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ কোন ভিকটিম অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন: ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না:আইনমন্ত্রী