নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকে তার কোনো পূর্বাভাস দেয়া যাচ্ছে না এখনই। তবে এতে আক্রান্ত হওয়া ৩৪ লক্ষাধিক ব্যক্তির মধ্যে প্রায় ১১ লাখ সুস্থও হয়ে উঠেছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত (২ মে, বেলা সাড়ে ১২টা) বিশ্বজুড়ে মোট ৩৪ লাখ ১ হাজার ৩১৮ জন প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ নামের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৪ জনের মৃত্যু হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১০ লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ জন।
এছাড়া বর্তমানে যে ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫১ হাজার ৩৫৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে বেশির অনেক দেশই সঠিক তথ্য না দেয়ায় এসব সংখ্যায় গড়মিল থাকার সম্ভাবনা রয়েই যায়। এছাড়া বহু দেশে নেই ভাইরাসটি শনাক্তের পর্যাপ্ত পরীক্ষার ব্যবস্থাও। তাই এসব সংখ্যাকে আনুমানিক ধরে নিতে হচ্ছে। এছাড়া মৃদু লক্ষণযুক্ত অনেকেই বাড়িতে থেকেই সেরে উঠছেন। সেইসাথে রয়েছেন এমন মানুষ যারা লক্ষণছাড়াই আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হচ্ছেন। পরীক্ষার আওতার বাইরে থাকা অনেক মানুষও ইতোমধ্যে মধ্যে সুস্থ হয়েছেন। যে কারণে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাটি আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে দৈনিক এক লাখ পরীক্ষার লক্ষ্য অর্জনে পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তারা ইতোমধ্যে বাসাবাড়ি ছাড়াও ফার্মেসি ও রাস্তার মোড়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
অপরদিকে সংক্রমণের হার আগের তুলনায় কমতে থাকায় বেশ কিছু দেশ লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে। এ তালিকায় করোনাবিধ্বস্ত ইতালিও রয়েছে। ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।