‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘আবে হায়াত’, ‘রাজ সিংহাসন’, ‘পদ্মাবতী’, ‘রাই বিনোদিনী’, ‘সোনাই বন্ধু’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘আশা নিরাশা’, ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’, ‘মালাবদল’, ‘আশীর্বাদ’ প্রভৃতি ছবির নায়িকা অঞ্জু ঘোষ।এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা ‘বেদের মেয়ে জোছনা’-এর নায়িকা তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে ৩ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করে দুই বাংলায় খ্যাতি কুড়িয়েছেন। ১৯৯৬ সালে কলকাতায় চলে যান অঞ্জু ঘোষ। তারপর থেকে কলকাতায় বসবাস করছেন।এক সময়ের ব্যস্ততা, এখন অফুরন্ত অবসরে সময় কীভাবে কাটে অঞ্জু ঘোষের? এ প্রশ্নের উত্তরে একটি সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জু ঘোষ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘আমার বাড়িতে মন্দির রয়েছে, ধর্মকর্ম পূজা-পার্বণ করেই সময় কেটে যায়। আমার বাসায় যেমন দুর্গার প্রতিমা রয়েছে, তেমনি পবিত্র মক্কা, খাজা বাবার ছবিও রয়েছে। মানব ধর্মের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নাই।’অন্য আট-দশজন নায়িকার মতো অঞ্জুর জীবনেও প্রেম এসেছিল। তবে সে প্রেম পরিণয় পায়নি। এ নায়িকার ভাষ্য— ‘এমনও সময় গেছে আমার জন্য ঢাকায় আমার বাড়ির দরজায় সারা রাত অপেক্ষা করেছে আমাকে দেখার জন্য। প্রেমিকদের নামের তালিকা দীর্ঘ। তাদের নাম আজ আর নাই বা বললাম। সবাই এখন সংসার করছেন। চাই না তারা কেউ বিব্রত হোক, তবুও আমি এখন একা ।’
আরও পড়ুন:অনির্বাচিত গোষ্ঠী ক্ষমতায় থাকলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে: কাদের
চলচ্চিত্র পরিচালক এফ কবীর চৌধুরীর সঙ্গে আপনার প্রেম-বিয়ের খবর ওই সময় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছিল। ওই বিষয়ে কী বলবেন? অঞ্জু বলেন, ‘আমাদের কোনো দিনই বিয়ে হয়নি। আমার প্রোডাকশন থেকে প্রথম একটি সিনেমা নির্মাণ করি। প্রচুর অর্থ লগ্নি করি। কিন্তু সিনেমাটি যখন রিলিজ দেব তখন এফ কবীর আবদার করে বসলেন যে, এই সিনেমাটি তার ড্রিমল্যান্ড প্রোডাকশন থেকে রিলিজ করতে হবে। কিন্তু তাতে আমি বেঁকে বসলাম। দু’জনার মধ্যে লেগে গেল দ্বন্দ্ব। অদ্ভুত বিষয় হলো, চুক্তিপত্রে আমি যে স্বাক্ষর করেছিলাম তা জাল করে বিয়ের কাবিননামা বানানো হয়েছিল। এটা সত্যি যে, এফ কবীর আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন।’অঞ্জ ঘোষ সিনেমা থেকে এখন দূরে রয়েছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে অঞ্জু ঘোষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভোলানাথ অপেরার হয়ে যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গান গাইতেন। ১৯৮২ সালে এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। সিনেমাটি ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়। রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। অঞ্জু বাণিজ্যিক সিনেমার তারকা হিসেবে যতটা সফল ছিলেন, সামাজিক সিনেমায় ঠিক ততটাই ব্যর্থ।
আরও পড়ুন:১৮ বছর পর ধরা খেলেন কিলার আজাদ!