বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

একাধিক মামলার আসামী শাওনের স্পা ব্যবসায় যুক্ত ইভা ও নুর-ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১০৯

রাজধানীর গুলশানের ডিপ্লোমেটিক জোনে একাধিক ম্যাসেজ পার্লার বা স্পা সেন্টারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্পা ব্যবসায়ীদের কিং শাওনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দ্বায়ের করেন। কিন্তু অতি লোভের আশায় নতুন করে কৌশল অবলম্বন করে নারী ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট উভা ও নুর-ইসলামকে যুক্ত করেন তার এই অবৈধ কর্মকান্ডে। যাতে তিনি লাভবান হন। আর প্রতিদিনেই ঘটছে অপৃত্তিকর ঘটনা। যেমন: ধর্ষন-আত্যহত্যাসহ বেশ কিছু অপৃত্তিকর ঘটনা। কিছুদিন পূর্বে উত্তর সিটি কপোর্রেশন অবৈধ স্পা সেন্টারে অভিযান চালালে দুইজন দেহ ব্যবসায়ী আত্যহত্যার দুর্ঘনা ঘটায়। তবে সমাজের বিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এভিযান পরিচালনা করে আসছে। তবুও থেমে নেই স্পা ব্যবসায়ীদের অসাধু বাণিজ্য এবং পুলিশের মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে। অত:পর শাওন তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে থার্ট পার্টিকে মাসিক চুক্তিভিক্তিক হস্তান্তর করেন। এতে তিনি প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৩০—৩৫০০০ টাকা নিয়ে থাকেন। যাদেরকে চুক্তিভিক্তিক দিয়েছেন তারা নারী পাচার চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন: ৬ দিনের সফরে চট্টগ্রামে ভারতীয় কোস্টগার্ডের দুই জাহাজ

গুলশান-২ এ অবস্থিত সেভেন স্কাই চুক্তিভিক্তিক নিয়েছেন লবনী ওরফে ইভা। তিনি এক সময় বনানী এলাকায় স্পা বাণিজজ্যে রাজত্ব করতেন এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়ে থাকে। এয়াড়া একাধিক একাধিক মামলাও রয়েছে। তিনি বর্তমানে বেশ ক্ষমতার দাপটেই গুলশান—২, ৪৯ রোডে উক্ত অপরাধী শাওনের সেভেন স্কাই নামক স্পা সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছেন চুক্তিভিক্তিতে। তবে তার কথা বার্তায় মনে হবে তিনি একজন ভদ্র প্রকৃতির লোক। কিন্তু তাকে বনানীর ভাইরাস নমে সবাই চেনেন বা জানেন। লাবনী আক্তার ইভা শুধু তাই নয় বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীকে ব্যবহার করে ক্ষমতার দাপট যেন তার একটি বাহন। এছাড়া থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি পুলিশের মান ক্ষুন্ন করছেন বলে অভিযোগ উঠে।

এদিকে গুলশান—২ বাটা শো-রুমের উপরে আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেভেন ডোর নামক প্রতিষ্ঠানটি শাওন চুক্তিভিক্তিক হিসেবে নুর-ইসলামকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। যিনি গুলশান—বাননীতে একই ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে ও গুলশান বনানীতে স্পার নামে তার দালাল চক্রের মাধ্যেমে একসময় একাধিক প্রতিষ্ঠানের মলিক ছিলেন। এখনো বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ঝুলছে। তিনি শাওনের প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে পরিচালনা করে আসছেন। গুলশানের মত অভিজাত এলাকায় রাতের আধার পাল্টে যাবার সাথে সাথেই পাল্টে যায় তার রূপ এবং এসব স্পা সেন্টারে রাতভর চলে মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসার মতো অনৈতিক কার্যকলাপ। এ থেকে বাদ পড়েন না সমাজের উঠতি বয়সের নামি দামি পরিবারের সন্তানেরা। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে। বিভিন্ন পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ থাকলেও কোন এক রহস্যর কারনে এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীদের নির্মুল করা সম্ভব হচ্ছে না।

আরো পড়ুন: গুলশানে ক্ষমতার দাপটে একাধিক মামলার আসামী নয়ন ও রিয়ার অবৈধ স্পা বাণিজ্য 

অণ্যদিকে কিছুদিন পূর্বে উত্তর সিটি কপোর্রেশনের আব্দুস সালামের সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানে দুই দেহ ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেন। তবে বিষয়টি অনেক মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে। কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখলাম সিটি কপোর্রেশনকে জড়িয়ে প্রতিবেদন করেছে। তবে প্রতিবেদনের সূত্রধরে তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, তাদের প্রতিবেদনের সাথে কোন সত্যতা মিল পাওয়া যায়নি এবং তারা কোন মাসোহারার জণ্য অভিযান করেনি। কারন স্পা সেন্টারে অভিযানের আগেই দুই দেহ ব্যবসায়ী আত্যহত্যা করেছিলেন। তাছাড়া সিটি কপোর্রেশন কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাতেই পারে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা উত্তর সিটি কপোর্রেশনের এক কর্মকর্তা। তাই সেটার দ্বায়ভার আমরা নিতে পারিনা বলে জানা ওই কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন: পারিবারিক কলহ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেলো আবুলের

এবিষয়ে এলাকাবাসি বলেন, সেদিন উত্তর সিটি কপোর্রেশন অভিযান চালিয়েছিল সমাজের অপরাধগুলো ফিরিয়ে আনতে। যাহা তাদের দ্বাীত্বর মধ্যে পরে। তবে যে দেহ ব্যবসায়ীরা আত্যহত্যা করেছে সেজণ্য সিটি কপোর্রেশন দ্বায়ী নয় বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য। কারন এটা তাদের দ্বায়ীত¦ এবং ভাল কাজ। ভবিষ্যতে ঢাকা উত্তর সিটি কপোর্রেশন এধরনের অবৈধ স্পা সেন্টার বা ম্যাসেজ পার্লারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এলাকার সামাজিক ফিরিয়ে আনবে বলে এলাকাবাসির কাম্য। আরো বিস্তারিত আসছে…

শেয়ার করুন

আরো খবর