নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীজুরে চলছে রাজনৈতিক সহিংসতা। তবুও থেকে নেই গুলশানে গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্টের নামে অশ্লিলতা বাণিজ্য। যাতে রয়েছে ছোট ছোট রুমে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হওয়ার নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট নামে মাত্র। কিন্তু গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট হলেও কাজে মূলত এক একটা বড় আকারের পতিতালয়। এসব গেষ্ট হাউসে প্রতিদিন ভিড় জমায় যুবক যুবতী ও যৌন কর্মীরা। গেস্ট হাউজে এসে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হয় উঠতি বয়সের তরুন—তরুনী ও যৌন কর্মীরা।
আরো পড়ুন: বনানীতে অবৈধ ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী জনি এখন স্পা ব্যবসায়ী !
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, এষানকার খদ্দের তরুন—তরুনী ও যৌন কর্মীরা। তারা গেস্ট হাউজে ঢুকবে, ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করবে, তারপর চলে যাবে। এখানে তেমন কোন বাইরের গেস্ট আসেনা। আসলেও বেশির ভাগ অন্যত্রে গিয়ে অবস্থান করে। আবার প্রেমিক যুগল ও যৌন কর্মীরা এসে এখানে লিপ্ত হয় অবৈধ সম্পর্কে। তবে এতে মালিক পক্ষের বিস্বস্ত লোক দ্বারা পরিচালিত হয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার এই ব্যবসা। হঠাৎ কেউ রিসিপশনে গেলে প্রথমে মনে হবে সম্পুর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে ও নিয়ম মাফিক পরিচালিত গেষ্ট হাউস। এক কথায় ভেজা বিড়াল। কিন্তু ভেতরে ঢুকলে বুঝা যায় কি হচ্ছে। অনৈতিক এব্যবসা বন্ধ করতে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা থাকলেও তার কোনটাই চোঁখে পড়ছে না।
আরো পড়ুন: বিএনপি খেলা শুরু না করতেই কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে: রুমিন
সম্প্রত্তি, কিছু রাজনৈতিক নেতা, পাতিনেতা ও অসাধু কিছু পুলিশ অফিসার গেষ্ট হাউস থেকে মাসোহারা নিচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খদ্দের জানান, এরা অবশ্যই মেয়ে রাখে। কিন্তু আমরা কোন মেয়ে রাখিনা। প্রেমিক যুগলরা হোটেলে এসে সময় কাটায়। কোন গেস্ট মেয়ে চাইলে আমরা দালালদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে দেই। গোপন রেখে আমরা কাজটি করে থাকি। গোপনীয় এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এলাকার নেতা, পাতিনেতা ও প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয় বলে দাবি করেন ওই সকল বেআইনী গেষ্ট হাউস ব্যবসায়ীরা। তবে পাশাপাশি মাদক বাণিজ্যতো রয়েছেই। কিন্তু মাদক ব্যবসা তেমন না থাকলেও খদ্দেররাই মাদক সেবনে মরিয়া হয়ে উঠেন। এধরনের গেষ্ট হাউসে বৃত্তমান ছেলে মেয়েরাই বেশির ভাগ। তাদের চাহিদা পুরনের জণ্য এসমস্ত গেষ্ট হাউসের কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকেন। দির রাত চলছে মাদক সেবন ও যৌন বাণিজ্য।
তেমনি অনুসন্ধানে মিলে, রোড নং ২৬, হাইজ,২২ যাহার মালিক মাহফুজসহ অনেকে। কিছুদিন পূর্বে গুলশান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অসংখ্য খদ্দের ও নারীদের গ্রেফতার করে একটি মানব পাচার দমন আইনে মামলা দ্বায়ের করেছিলেন গুলশান থানা। তবুও থেমে নেই এদের কর্মকান্ড।
এদিকে রোড নং ৩৩ এর হাউজ নং— ৬ বাড়িটিতে আরেকটি গেষ্ট হাউসের সন্ধান মিলে। যাহার মালিক মিরাজ ও ফারুকসহ আরো অনেকে। এরা প্রথমে উক্ত ফ্ল্যাটটির একটি ফ্লোর ভাড়া নেন। পরে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে দ্বীতিয় তলায় আরেকটি ফ্লোর নিয়ে থাকেন। তবে গেট হাউজ মালিক মিরাজ শুধু গেষ্ট হাউজ এরা নারী চক্রের সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এয়াড়া মিরাজের একাধিক আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে সকল ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যবসা রয়েছে। এরা নামে মাত্র গেষ্ট হাউস করলেও তার চিত্র উল্টো। যাহার নেই কোন অনুমোদন। তবে গেষ্ট হাউজগুলো নামে মাত্র কিন্তু সুন্দরী নারী রেখেই চলছে আবাসিক হোটেলের মত বাণিজ্য।
আরো পড়ুন: রাস্তা দখল করে বসে পড়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
এদিকে কোন আবাসিক এলাকায় এসব প্রতিষ্ঠান করার অনুমোদন না থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই বৈধতার রুপ নেয়। সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এখান থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের নামে কোন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয় না। যারা এসব ব্যবসা করেন তারা অবৈধভাবে এসব গেষ্ট হাউস স্থাপন করেছেন। কিন্তু আমরা মাঝে মধ্যে তাদের জেল জরিমানা করে থাকি। তারপরও আমরা এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব।
এবিষয়ে জানতে চাওয়ার জণ্য গুলশান থানার অফিচার্জ ইনচার্জের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আরো বিস্তারিত আসছে আগামী সংখ্যায়… (ধারাবাহিক প্রতিবেদন)
আরো পড়ুন: অস্থিতিশীল ও সহিংসতা বন্ধ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী