নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে স্পা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের তৎপরতায় এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। নষ্ট হচ্ছে সামাজিক ভারসম্য। এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষাত্রীসহ অনেকেই। আবার দেহ ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পরে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন খদ্দেররা। বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীরা খদ্দের যোগান দিয়ে থাকে। তবে এসব খদ্দেররা বৃত্তবান হয়ে থাকেন। এরা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হলেও নিজেদের সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
আরো পড়ুন: বনানীতে অবৈধ ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী জনি এখন স্পা ব্যবসায়ী !
জানা গেছে, গুলশান— ২, রোড নং— ৯৫, হাইজ নং— ২/ডি প্যারাডম মার্কেট এর কাচাবাজার সংলগ্ন তৃতীয় তলায় অবস্থিত হোয়াইট ডায়মন্ড স্পা সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠানটি এসব অনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশ এর আগে এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে রিয়া ও নয়নের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দ্বায়ের করেছেন তারও প্রমান রয়েছে অনেকের কাছে। তবে বর্তমানের এসব প্রতিষ্ঠানে পুলিশের রহস্যময় কারনে তেমন কোন অভিযান হয়না। তাদের নাকের ডগায় এখন যেন ওপেন ডে হা্উজ হয়েছে এবং মিনি পতিতালয় হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু মাঝে মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানে পুলিশের অভিযান চললেও তেমন কাউকে পায়না। এর অন্যতম কারন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি সিসি ক্যামেরা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত এবং পুলিশ আশার আগেই একটি কুচক্র মহল তাদেরকে জানিয়ে দেয়। যার ফলে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে ছিটকে পড়ে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে এলাকার মাস্তানদের আড্ডা চলে নিয়মিত। কিন্তু উপরোক্ত নামধারী ব্যবসায়ী দির্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত লোভের আশায় এসব অসাধু ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করে থাকেন মালিক কর্তৃক একটি মানব পাচার চক্র। যারা প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে সুন্দরী মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সংগ্রহ করে থাকেন। এতে সুন্দরী নারীরা তাদের কবলে পড়ে বিপাকে পরে এবং তারা তাদের এমনভাবে ব্যবহার করে থাকেন যেন বের হওয়ার কোন উপায় থাকে না। জিম্মি হয়ে যায় তাদের নিকট। ফলে তাদের সম্মানের ভয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য হয়।
এবিষয়ে স্পা ব্যবসায়ি প্রিন্স ওরয়ে নয়নের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা থেকে আমাদের অনুমতি না থাকলেও আমরা তাদের অবর্তমানে দু একটি দেহ ব্যবসায়ীকে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছি। এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দিয়েছি এখন থানার কথা মতো প্রতিষ্ঠান আবার চালু করেছি বলে ব্যক্ত করেন। তাই আমরা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছি এবং ব্যবসা করছি।
এবিষয়ে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমরা নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমার জানামতে প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তারপরও আপনাদের নিকট কোন তথ্য থাকলে আমাদেরকে জানাবেন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
আরো পড়ুন: গুলশানে মাহফুজ ও মিরাজের গেষ্ট হাউসের নামে চলছে অশ্লিলতা!