দিন দিন রাজধানীর গুলশান ডিপলোমেটিক জোনে বেড়েই চলেছে ম্যাসেজ পার্লারের আড়ালে অবৈধ দেহ ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ম। গুলশানের মতো একটি অভিজাত এলাকায় রাতের আধার নামার সাথে সাথেই পাল্টে যায় তার রূপ। রাতভর চলে ডিজে পার্টি, মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসার মতো অনৈতিক কার্যকলাপ। এ থেকে বাদ পড়েন না সমাজের উঠতি বয়ষের নামি দামি পরিবারের সন্তানেরাও। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে। এতে করে এক বন্ধুর দেখা দেখি অন্য বন্ধুটিও পা বাড়াচ্ছে ধ্বংসের পথে। বিভিন্ন পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ থাকলেও এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীদের নির্মুল করা সম্ভব হচ্ছে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও আইনের ফাক ফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে এসে এরা পুনরায় একই কাজের সাথে লিপ্ত হচ্ছে।
জানা যায়, গুলশানের ৯৯ সড়কের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তাতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেশ দাপটের সহিত বাহার নামক এক ব্যক্তি অবৈধ দেহ বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয় অভিযোগ পাওয়া গেছে উক্ত বাহার এব্যবসার পাশাপাশি কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার জন্য রেখেছেন স্কর্ট সার্ভিসও।
সম্প্রত্তি গুলশান থানা পুলিশের কঠোর নজরদারী থাকা সত্ত্বেও বিকল্প পন্থায় ভিতরে কাস্টমার ঢুকিয়ে বাহির থেকে তালা মেরে চলছে বাহারের রমরমা স্পা নামক দেহ বাণিজ্য। বাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কর্মকান্ডের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতী ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ আপনারা যা খুশি তাই করতে পারেন।
এবিষয়ে কথা হয় গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই এসকল অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এরা যাতে করে অবৈধ কর্মকান্ড না চালাতে পারে সেদিকে আমরা দৃষ্টি রাখছি এবং এধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় এনে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। আপনাদের নিকট এদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করবো।
আরো পড়ুন: শিক্ষকদের ৬ মাসের বেশি বরখাস্ত নয়