বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পিঠা উৎসব শুরু হয়। উৎসব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মোট ৩০টি স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়েছে ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পিঠার নামগুলোও বিচিত্র। এগুলোর মধ্যে আছে চিংড়ি পিঠা, ফুলঝুরি, শামুক পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, কমলা পিঠা, ঝিনুক কলি কারি, পাতারি শিরীষ পিঠা। আরও ছিল টিপটপ, পুলি, নারকেল নাড়ু, ফুলঝুরি পিঠা, বুটের হালুয়া, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধপুলি, তালের বড়া, ডিমের বড়া, তেলের পিঠা, নারকেল-দুধপুলি, মালপোয়া, ঝাল পিঠা, তালের বড়া ও নকশি পিঠা।
স্টলগুলো ঘুরে আরও দেখা যায়, বাবুই ঝাঁক, পাঁপড়, ডিমের পানতোয়া, সবজি বড়া, জামাই পিঠা, চিপস পিঠা, ঝাল পুলি, মিষ্টি পুলি, সেমাই পিঠা, ডিমের বিস্কুট, ফুল পিঠা, মসলা পিঠা, তিলের ঝুলি, পয়সা পিঠাও রয়েছে। গুড়, দুধ আর নারকেলের পাশাপাশি মাংস, মাছ আর সবজি দিয়ে অনেকে ঝাল পিঠাও করে আনে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল আফরিন বলে, পিঠা উৎসবে প্রথমবারের মতো তারা অংশ নিয়েছে। চিংড়ি পিঠা, পয়সা পিঠা, তালের কোয়া পিঠা আগে কখনো সে দেখেনি। মা-দাদিরা অনেক দিন পর এসব পিঠা ঘরে তৈরি করে দেখালেন।
একই শ্রেণির ছাত্রী মুফমিনা আক্তার বলেন, ‘আমার মা ও নানি মিলে বুধবার রাতে পিঠা তৈরি করে দিয়েছেন। আমি প্রথমবার বিচিত্র এ পিঠা তৈরিতে অংশ নিয়েছি। এরপর পিঠা উৎসবে পিঠা বিক্রি করছি। সব মিলিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা হলো।’

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সাদিবা আকন্দ পিঠা কিনতে এসে বলল, বাড়িতেও পিঠা তৈরি হয়। তবে একসঙ্গে অনেক পিঠার দেখা পাওয়া গেল পিঠা উৎসবে। তার বাবা তাকে অনেক পিঠা কিনে দিয়েছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, দেশ থেকে অনেক পিঠা হারিয়ে গেছে। দৈনন্দিন ব্যস্ততার কারণে এসব পিঠা এখন আর ঘরে তৈরি হয় না। তাঁরা চেয়েছিলেন, একদিন অন্তত আনন্দঘন পরিবেশে নতুন প্রজন্ম পিঠার সঙ্গে পরিচিত হোক। আয়োজনে বিভিন্ন দামে পিঠা কেনার সুযোগ ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে বিক্রিবাট্টায়ও অংশ নিয়েছে। এভাবেই একসময় ঘরে ঘরে ঐতিহ্য ফিরবে।