এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি শেষ হবার নয়। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে আইভরি কোস্টের ব্যর্থ সব ক্রসের ‘জবাব’ যে মোহামেদ সালাহর মিসর দিচ্ছিল নিষ্ফলা সব ফিনিশে! ফলাফল যা হবার তাই হলো, ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে।
পুরো টুর্নামেন্ট ধরেই কার্লোস কুইরোজের অধীনে মিসর খেলছে বেশ রক্ষণাত্মক ফুটবল। গোল করতে পারলে ভালো, না পারলেও সমস্যা নেই, রক্ষণটা ঠিক থাকলেই হলো- পুরো টুর্নামেন্টে এই হচ্ছে ‘ফারাওদের’ কৌশল।
তবে দলের আক্রমণভাগ নিষ্ফলা সব ফিনিশে কোচ কুইরোজের কৌশলকে যেন যৌক্তিক প্রমাণ করছে প্রতি ম্যাচেই। নিজেরা সুযোগ তৈরি না করে প্রতিপক্ষের ভুলের অপেক্ষা করার কৌশলে যে কয়টা সুযোগ বুধবার রাতে এসেছে, তার সবকটাই যে হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট! ১৫ মিনিটে ওমার মারমুশের দিশাহীন শটে শুরু, তার পর পুরো ম্যাচেই চলেছে এর পুনর্মঞ্চায়ন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা খানিকটা বাড়তি তীব্রতা নিয়ে হলেও সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে গেছে সেটাও। তাই মিসর কোচ কুইরোজ বাধ্য হয়েই ছক বদলে ৪-২-৩-১ এ দল সাজাতে বাধ্য হন, যেন আর যাই হোক, গোল হজম করে না বসে দল।
মোহামেদ সালাহর মতো একজন পেনাল্টি টেকার যখন আপনার দলে থাকবেন, অন্তত একটা পেনাল্টির চিন্তা থেকে মুক্ত আপনি, যা টাইব্রেকারে আপনাকে দেবে একটু বাড়তি স্বস্তি।
আরও পড়ুন : ১৮ বছর পর ফের জুটি বাঁধছেন হৃতিক-কারিনা