ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা সংরক্ষণে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষিদ্ধ ছিল মাছ ধরা। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে। পরে লক্ষ্মীপুরের জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে না।
তবে কয়েক দিনের মধ্যে ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছে জেলা মৎস্য বিভাগ।
জেলার সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় প্রায় ৬০ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন। তবে সরকারি হিসাবে এ জেলায় ৪৭ হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটারে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় জেলেরা নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকে।
রায়পুরের হাজীমারা মাছঘাটের জেলে সাত্তার মাঝি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে যাননি। ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন। এখন করোনা ঝুঁকি জেনেও পেটের দায়ে মেঘনায় নেমেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ পাননি বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (১ মে ) থেকে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন জেলেরা। তবে ছোট ইলিশের সঙ্গে ডিমওয়ালা ইলিশও ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলার সবচেয়ে বড় মাছঘাট মতিরহাটের আড়ৎদার মেহেদী হাসান লিটন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মনে করছেন, শুরুতে কিছুটা কম হলেও পরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে।