বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩
  • ১৬

গত ৯ মে সেনাবাহিনীর পরোক্ষ নির্দেশনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স। তবে সেদিন উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো পাকিস্তান। ইমরানের সমর্থকরা সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরসহ উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা চালান।আর ইমরানের গ্রেপ্তার পরবর্তী সহিংসতার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

আরো পড়ুন:যেসব কোমল পানীয় খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াবে

যদি কোনো কারণে দেশটিতে থাকা চীনের অবকাঠামোর ওপর হামলা হয়–— সেটি সেনাবাহিনী আটকাতে পারবে কিনা এ নিয়েও শঙ্কা আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ক্লাস্কন।

ক্লাস্কন অস্ট্রেলিয়ার একটি অনুসন্ধানীমূলক সংবাদমাধ্যম। যেটি জনস্বার্থ বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সেনাবাহিনী ছাড়াও চীনের বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপরও হামলা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পাকিস্তানে চীন বিরোধী যে মনোভাব রয়েছে এটি তারই বহিঃপ্রকাশ। পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য অনেকে চীনেরও দায় দেখেন।

সংবাদমাধ্যম ক্লাক্সনের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান-চীন বাণিজ্য করিডোরের (সিপ্যাক) অধীনে পাকিস্তান গত দশকে চীনের কাছে অতি ঋণী হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে বেইজিংয়ের কাছে ইসলামাবাদের ঋণ রয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার। যা দেশটির মোট ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণের এক-তৃতীয়াংশ।ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর কিছু দুস্কৃতকারী আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ছিনতাই করে।

ওই অস্ত্র ব্যবহার করে কয়েকদিন আগে চীনের মালিকানাধীন একটি বোডইয়ার্ডে হামলা চালায় দুই ব্যক্তি। এছাড়া পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় চীনের একটি ইলেকট্রিক টাওয়ারেও হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটিতে এমন চীন বিরোধী কর্মকান্ড বাড়ার বিষয়টি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

আরো পড়ুন:যশোরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

শেয়ার করুন

আরো খবর