চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, একটি জাতিগোষ্ঠীর সভ্যতা বিনির্মাণ ও জ্ঞানের উন্নয়নে বইমেলা ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তরুণ-তরুণীরা এই বইমেলার প্রাণ।শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে তারুণ্যের উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।নাছির উদ্দীন বলেন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আত্মশক্তি ও দৃঢ়তাই সাফল্যের ভিত্তি। তারুণ্যের উচ্ছ্বাসই মানবজীবনকে সফলতা ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রেরণা দেয়। যেখানে তারুণ্যের উচ্ছাস তথা মানসিক শক্তি গতিহীন সেখানে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথ বন্ধ। পৃথিবীর চারদিকে আজ তারুণ্যের জয় জয়কার। যারা তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরপুর হতে পারেননি, তারা পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। বই আত্মাকে পরিপুষ্ট করে, জ্ঞানকে করে সমৃদ্ধ। বই হচ্ছে মানুষের সত্যিকার বন্ধু। যা মানুষের বুকের ভেতর সযত্নে লালন করা স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে পারে।
আরও পড়ুন:প্রাণ গেল যমজ সন্তানের অন্তঃসত্ত্বা নারীর
তিনি আরও বলেন, লেখক, প্রকাশক ও পাঠক একই সূত্রে গাঁথা এবং পরস্পরের পরিপূরক। নতুন প্রজন্ম অনেক মেধাবী। আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশিষ্ট লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব অভিক ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শুকলাল দাশ। আলোচক ছিলেন ড. শামসুদ্দিন শিশির, ড. সৌরভ সাখাওয়াত, কাউন্সিলর শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ। তারুণ্যের উৎসবের এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ ।
শুকলাল দাশ বলেন, যারা সমাজের অগ্রসর চিন্তা-চেতনার মানুষ তারাই বইমেলায় আসেন। সৃজনশীল মানুষের মহাপ্রয়াস হচ্ছে বইমেলা।
সভাপতির বক্তব্যে অভিক ওসমান বলেন, আমাদের বহন করা পতাকা এখন নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে হবে। তারাই বিনির্মাণ করবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চসিকের উদ্যোগে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে হেরোইনসহ ২ কারবারি আটক