আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট ঘোষণা করতে চলেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
ওমিক্রন সংক্রমণের জেরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় নতুন সংকটের মধ্যেই এ বাজেট ঘোষণা করবেন তিনি।
ওমিক্রন ঠেকাতে সাম্প্রতিক বিধিনিষেধের কারণে চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের অনুমানের চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
নতুন অর্থবছরে ভারত সরকার ব্যয় বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এফডিএমডি) গীতা গোপীনাথও এমনটিই মনে করেন।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে খাদ্য কর্মসূচি ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ আন্না যোজনা’র মেয়াদ ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
গীতা গোপীনাথ আশা করেন, নতুন বাজেটে ভারত সরকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেবে ও শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়াবে। তার মতে, মোদী সরকারের উচিত রাজস্ব ঘাটতির জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যের কথা বলা, যা যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত অর্থনীতিগুলো সুদের হার বাড়ানোর মুহূর্তেও খরচ সীমিত রাখতে সাহায্য করবে।
আইএমএফের এফডিএমডি আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : কুষ্টিয়ায় কিশোর ও গৃহবধূ খুন