চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পরপরই চীনসহ আসপাসের দেশগুলোতেও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছিলো। তখন সেইসময় ১০হাজার টেস্টের মধ্যে শনাক্ত হয়েছিলেন মাত্র ৯৮জন। তখন একটি মৃত্যুও হয়নি। তবে এমন অবস্থায় বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সারা বিশ্বেই আপত্কালীন পরিস্থিতি জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
তবে সেই ঘোষণাকে কোনো দেশের রাষ্ট্রনেতারা পাত্তা দেয়নি বলে দাবি করেন ডব্লিউএইচও। তার ফলস্বরূপ বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৩৩লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
১ মে, শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস।
সম্প্রতি করোনা মোকাবিলায় চীনের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে হু, এমন অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিনের একটি বিবৃতি দেন তিনি।
হু প্রধান দাবি করেন, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রনেতাদের অনেক আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন অধিকাংশ রাষ্ট্রনেতারাই। আর সেই কারণেই তার ফল ভুগতে হচ্ছে। আর যে সব দেশ হুয়ের সতর্কবার্তা মেনে চলেছে, তারা তুলনামূলক অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরো জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যেও জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ মেনেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাই সারা বিশ্বে জরুরি অবস্থাই জারি থাকবে বলে তিনি ঘোষণা করেছেন।