ভারতীয় অপরাধ বিষয়ক হিন্দি সিরিয়াল সিআইডি দেখেই আট বছরের শিশু সোহানকে ঠাণ্ডা মাথায় শ্বাসরোধে হত্যা করে তার গৃহশিক্ষক আব্দুল আহাদ। তারপর শিশু সোহানের লাশ মাটিচাপা দেয় সে নিজেই। তবে নানাভাবে ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করেও শেষ রক্ষা হয়নি আহাদের। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার রুদ্রগাঁও এলাকার আনোয়ার হোসেনের শিশুসন্তান সোহান।গত ১৫ মে সন্ধ্যার পর শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন এই ঘাতক আহাদও অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুটির সন্ধান করে। চার দিন পর গত শুক্রবার যখন শিশুটির লাশ পাওয়া যায় তখনো অভিভাবক এবং পুলিশকে সহযোগিতা করছিল এই আব্দুল আহাদ। কিন্তু তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের কললিস্ট দেখে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়।এর আগে আহাদের মুঠোফোনের কললিস্ট ও তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ। তারপর গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার রুদ্রগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ুন:এসিইডিবি, এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন প্রতিনিয়ত থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি জানান, আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল কিশোর আব্দুল আহাদ।এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বিয়ে করে সে। এতে আরো অনটনে পড়ে যায় সে। এরই মধ্যে তার ছাত্র সোহানের মায়ের কাছে কিছু টাকার খোঁজ পায় সে। সেই টাকা হাতিয়ে নিতে ভারতীয় হিন্দি সিরিয়াল সিআইডি দেখে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটায় সে। আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হয় আব্দুল আহাদকে।সেখানে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় আহাদ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের দুই সন্তানের মধ্যে শিশু সোহান স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
আরো পড়ুন:সিলেটে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের আচরণে হতাশ ও ক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টি