ডলার সংকটের কারণে বেশকিছু দিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি নির্ভর গরম মসলার দাম বাড়ছে। এছাড়া শীতের মৌসুমে দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মৌসুমি খাদ্যাভ্যাসের কারণে মসলার চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এ বছর শীত আসতে না আসতেই আরও বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:ফের খোলাবাজারে ডলার সংকট
শিপন আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মুগদাপাড়ায়। চাকরি করেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খিলগাঁও বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আগের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না। শুধু তাই নয়, আকাশচুম্বি মসলা পণ্যের দাম। আমাদের মত সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয়। খুব বিপদের মধ্যে আছি।
আরো পড়ুন:তফসিল পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ডলারের চড়া দাম আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।