শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

মালাই চা বিক্রি করে বদলে গেল কিরণের জীবন

রাব্বি হাসান চৌধুরী
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০৬৫
মালাই চা বিক্রি করে বদলে গেল কিরণের জীবন
প্রতিবেদক, রাব্বি হাসান চৌধুরী
ছোট বেলা থেকেই দাদা ধনু মিয়ার সঙ্গে চা বানাতেন মো: কিরণ মিয়া। চায়ের দোকানই ছিল তাদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। কিন্তু বছরের পর বছর চা বেচেও তাদের সংসারে ফেরেনি সাচ্ছলতা। বিকল্প কিছু ভাবতে থাকেন কিরন। মালাই চা বানানোর কৌশল শিখে নেন কিরন মিয়া ।এই মালাই চায়ের ব্যবসায় বদলে যায়  কিরণের জীবন।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাভের মুখ দেখতে থাকেন কিরণ। জেলাসহ আশে-পাশের উপজেলা গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে চায়ের স্বাদের প্রশংসা। আকর্ষণীয় কাপে মালাই চা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিরণ কসবা সদর উপজেলার শাহপুর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে। বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধনু মার্কেট বাজারে তার দাদা এবং তার বাবা ৩৮ বছর এই দোকানে চা বিক্রির পর এখন  দোকান কিরণ মিয়ার দায়িত্বে পরিচালিত হচ্ছে। ২১ বছর ব্যাবসা করে  দুই বছর আগে তার বাবা মারা যান। এরপর পুরো দোকানের দায়িত্ব এসে পড়ে তার ওপর। বছরের পর বছর চা বিক্রি করেও ভাগ্য পরিবর্তন করতে না পারায়, কি করা যায় এ নিয়ে নতুন করে ভাবনায় পড়েন কিরণ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে কিরনের মালাই চায়ের স্বাদের প্রশংসা। শীতের সময় লাইনে দাঁড়িয়ে এ চা খেতে হয়। প্রথম দিকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার চা বিক্রি হতো। এরপর কিরনকে দেখে অনেকেই চায়ের ব্যবসা শুরু করেন। তাই তার ব্যবসার কিছু কমেছে। বর্তমানে তিনি প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টাকার মালাই চা বিক্রি করেন। এতে করে মাসে তার দেড় লাখ টাকার চা বিক্রি হয়।
চায়ের কাপ হাতে কিরণ মিয়া 
কিরণ মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার দাদার নামে এই মার্কেটের নামকরণ করা হয় ধনু মার্কেট। তার সফলতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দাদা এবং বাবার জনপ্রিয়তায় আজ আমার সফলতা এনে দিয়েছে।
স্থানীয় কাশেম মিয়া বলেন, কিরণের চা মানেই মজা। অনেক দূর থেকে এখানে চা খেতে মানুষ জন আসেন। এছাড়া তার গ্রামে নতুন  কেউ বেড়াতে আসলে কিরণের চা না খেয়ে যান না। কিরণের চায়ের দোকানের জন্যই এই বাজার এতো জনপ্রিয়।

শেয়ার করুন

আরো খবর