সাংবাদিক তুহিনের পরিবারের পাশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিচার নিশ্চিতে আশ্বাস

গণমাধ্যম

 

সাকিব জামাল

গাজীপুরে খুন হওয়া সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম ও ছোট সন্তান ফাহিমের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, তাঁদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

বাবাকে হারানো শিশু ফাহিমকে কোলে তুলে আদর করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

গাজীপুরে খুন হওয়া সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, তাঁদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

এসময় উপদেষ্টা নিহত সাংবাদিক তুহিনের ছোট ছেলে ফাহিম কে কোলে তুলে আদর করেন এবং পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান “তুহিন হত্যার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা চাই না এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। সরকার এই মামলায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবে।”

সাক্ষাতের সময় নিহত সাংবাদিক তুহিনের কর্মস্থল দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার দাবি জানালে উপদেষ্টা আশ্বাস দেন যে, এ মামলায় কোনো ধরনের গাফিলতি হবে না।

সাংবাদিক তুহিনের পরিবার জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাস তাঁদের কিছুটা হলেও সাহস জুগিয়েছে। তবে তাঁরা দ্রুত বিচার এবং হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় ইতোমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিএমপির বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র দাস এ চার্জশিট জমা দেন। সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল হাসান।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন—মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপী, মো. আল আমীন, স্বাধীন ওরফে সেলিম, মো. শাহজালাল ওরফে জালাল, মো. ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আরমান।

গত ৭ আগস্ট রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। তুহিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডে সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করে।

দেশজুড়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়াকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তবে বিচারকাজ দ্রুত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিহতের পরিবার ও সহকর্মীরা শান্তি পাবেন না বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *