বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে ১৬ আসামির ভুয়া পরিচয় উন্মোচিত

সারা বাংলা

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার এক নারী আসামি ভুয়া নাম–পরিচয় দিয়ে পুলিশ ও আদালতকে বোকা বানালেও শেষ রক্ষা হলো না। কারাগারে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর ফাঁস হয়ে গেল তাঁর আসল পরিচয়।

চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৪ আগস্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-৯ নগরের চান্দগাঁও থেকে এক নারীকে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করে। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন রহিমা আক্তার (৩৫) নামে। ওই নামেই মামলা হয় এবং তাঁকে ১৫ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

কিন্তু কারাগারে আনা হলে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেমে ধরা পড়ে তাঁর আসল নাম মনোয়ারা বেগম। বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী গ্রামে। আসামি নিজেই স্বীকার করেন, জামিনে বেরিয়ে আবার গ্রেপ্তার না হতে তিনি ভুয়া নাম–ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে বায়োমেট্রিক ব্যবহারের পর থেকে এ পর্যন্ত ভুয়া পরিচয়ে আত্মসমর্পণ করা ১৬ আসামির আসল পরিচয় ধরা পড়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, পুলিশের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। গ্রেপ্তারের সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসামির পরিচয় যাচাই করা হলে ভুয়া নাম–ঠিকানা ব্যবহার ঠেকানো সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *