ক্রাইম এক্সপ্রেস:
আপনি যদি নাস্তা খেয়েও ওজন কমাতে চান তাহলে বেছে নেওয়া যেতে পারে এমন কিছু বিশেষ খাবার, যেগুলো পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়বে না। এমনই একটি খাদ্য পপকর্ন। অন্যান্য নাস্তার চেয়ে পপকর্নে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। পপকর্নে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়ায়।
তবে বাজারে বিক্রি হয় এমন কিছু পপকর্ন ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানান তিনি। পুষ্টিবিদ লিউক বলছেন, এই মিষ্টি অথবা মশলাদার পপকর্নগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এতে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে।
ক্লাসিক পপকর্ন কীভাবে ওজন কমতে পারে তার ব্যাখ্যা করেছেন পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো। বলছেন, এক কাপ ক্লাসিক পপকর্নে ক্যালোরির মাত্রা থাকে অত্যন্ত কম। সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ কিলো ক্যালোরি রয়েছে। ক্লাসিক পপকর্নে ফাইবারের মাত্রা বেশি। এটি হজমের জন্য উপকারী। এমনকি, যখন তখন এটা-সেটা খাওয়ার ইচ্ছেও হয় না এই পপকর্ন খেলে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি। যেহেতু ভুট্টার দানা থেকে তৈরি, তাই পপকর্নে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। যা হার্টের স্বাস্থ্যে ভালো রাখে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী এই পপকর্ন।
পপকর্ন কীভাবে খাবেন?
স্বাদের জন্য পপকর্নে সামান্য বিট লবণ, গোলমরিচ এবং পছন্দের স্বাস্থ্যকর মশলা বা হার্ব মিশিয়ে খেতে পারেন। দৈনিক ২-৩ কাপ মাপের পপকর্ন খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো কারণ ক্লাসিক পপকর্নও বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। পেটফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা অথবা আইবিএসের সমস্যা থাকলে পপকর্ন না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে থাকা ফাইবার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে খেয়াল রাখবেন এটা কীভাবে ভাজা হচ্ছে। ভাজার সময় পপকর্নে অতিরিক্ত লবণ, বাটার, চকলেট মেশাবেন না। এগুলো মিশিয়ে পপকর্ন ভাজলে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই হবে। বাড়বে ওজন।