সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের চিকাডোহর গ্রামের শাহ আরেফিন টিলা এক বছরে পাথরখেকোদের কারণে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে। আগে লাল মাটির টিলাটি পর্যটকদের আকর্ষণ করলেও গত বছরের ৫ আগস্টের পর স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীরা তা খনন শুরু করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং চক্রগুলি রাজনৈতিক দলের প্রভাব ব্যবহার করে প্রশাসনের চোখে আড়াল হয়ে কাজ চালিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসন দীর্ঘদিন দেখেও নজর এড়ানোর ভান করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ও মামলা করেছে, তবে প্রধান অভিযুক্ত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ মামলার আসামি করা হয়নি।
টিলার প্রায় ১৩৭ একর এলাকা কেটে পাথর সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়রা উল্লেখ করেছেন, পাথর লুট চক্র সাধারণ মানুষদের স্থান থেকে উৎখাত করেছে এবং বড় বড় মেশিন ব্যবহার করে টিলার পাথর কেটে ট্রাকে তোলেছে। বর্তমানে টিলার মাটি ধূসর, টিলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিশ্চিহ্ন এবং বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি জমে মনুষ্যসৃষ্ট পুকুর তৈরি হয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, টিলার পাথর উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং দেখা হচ্ছে কোনটা কী করা যায়। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এবং গ্রামবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অনেকটা ভয় পাচ্ছেন।