ঢাকার সদরঘাট এলাকায় এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক চুল ও দাড়ি কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওটি ‘ডিভিসি বাংলা’ ফেসবুক পেইজে প্রচার করা হয়, যেখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘ভালো কাজ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাকে জোর করে বসানো হয়েছিল এবং চুল-দাড়ি কাটার পাশাপাশি হাত থেকে ধাতব চুড়ি নেওয়া হয়েছিল। আইনজ্ঞরা মনে করছেন, যেকোনো ব্যক্তির চুল-দাড়ি কেটে দেওয়া আইনগতভাবে অপরাধ, এমন কাজকে ‘ভিউ বাণিজ্য’ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা আরও গুরুতর।
মাহবুবুর রহমান নামে একজন এই কর্মকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তার ফেসবুক পেইজে দেশের বিভিন্ন স্থানের অসংখ্য মানুষকে জোরপূর্বক চুল-দাড়ি কাটার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। আইনি বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে এবং ভুক্তভোগীরা চাইলে মানহানির জন্য মামলা করতে পারেন।
সাম্প্রতিক সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ভুক্তভোগীদের পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের নজরদারি ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ক্রমবর্ধমান হওয়ায় আইনজীবীরা সতর্ক করেছেন, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা কঠিন।